দ্বৈতকর পরিহার, বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা, দণ্ড পাওয়াদের বদলি ও যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে পাঁচটি চুক্তি এবং পাঁচ সমঝোতায় সই করেছে বাংলাদেশ ও কাতার।
মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে দুই দেশের মধ্যে এসব চুক্তি-সমঝোতায় সই হয়। এ সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে- দ্বৈতকর ও কর ফাঁকি পরিহার, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা, সাগরপথে পরিবহন, বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা, দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বদলি ও যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন।
আর পাঁচ সমঝোতার মধ্যে রয়েছে- কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতা, শ্রমশক্তি ও বন্দর ব্যবস্থাপনা।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে করেন সফররত কাতারের আমির। সকাল সোয়া ১০টায় শেখ তামিম প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে টাইগার গেটে তাকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান শেখ হাসিনা।
এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিমুল হলে একান্ত বৈঠকে বসেন দুই নেতা। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গ্লোব হলে ফটোসেশনে অংশ নেন।
পরে চামেলী হলে দুই দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে হয় দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। বৈঠকের পর করবী হলে দুই নেতার উপস্থিতিতে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়।
সোমবার বিকালে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দিয়ে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
চলতি বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের নতুন সরকার গঠনের পর মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ থেকে এটিই প্রথম উচ্চপর্যায়ের ঢাকা সফর।