বুধবার , ১ মে ২০২৪ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

যতবার সরকারে এসেছি ততবার শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করেছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রতিবেদক
Newsdesk
মে ১, ২০২৪ ৩:৪৭ অপরাহ্ণ

যতবার সরকারে এসেছি ততবার শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করেছি মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ৯৬ সালে বিরোধী দলে থাকাকালে আমি শ্রমিকদের দেখেছি তাদের মজুরি ছিল মাত্র ৮০০ টাকা। তখন সরকারে এসে আমরা মজুরি বাড়িয়েছিলাম। শ্রমিকদের আরও উপযুক্ত করে গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য।

শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করে এমন কাউকে আমরা ছাড়ি না। এমনকি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন হলেও তাকে আমরা ছাড় দেই না।

বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত মে দিবসের আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় মালিকদের বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের দিকে মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী বলেন। বলেন, বায়াররা যদি বিশ্ববাজারের সঙ্গে মিল রেখে পণ্যের দাম নির্ধারণ করে তবে সরকার শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির জন্য মালিকদের প্রতি চাপ দিতে পারে। একই সঙ্গে আইএলওকে শ্রমিকদের পাশাপাশি মালিকদের বিষয়গুলো দেখারও আহবান জানান তিনি।

শ্রমিকদের কল্যাণ দেখা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব মন্তব্য করে দলনেতা বলেন, রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস শ্রমিকদের কল্যাণে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে বিশেষ প্রণোদনা, অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা গ্রিন শিল্প কারখানা স্থাপনসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের শ্রমিকদের আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ও দক্ষ করে গড়ে তোলাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।

করোনাকালের কথা স্মরণ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিল্প-কলকারখানা যেন বন্ধ না হয় সেজন্য তখন বিশেষ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিলো। শ্রমিকদের কল্যাণ চিন্তা করে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় কল-কারখানা খোলা রাখা হয়েছিল।

সরকারপ্রধান জানান, ৪২টি সেক্টরে শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি পুনর্মূল্যায়ন করা হয়েছে। নারী শ্রমিকদের জন্য ডেকেয়ার সহ বিভিন্ন সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

শ্রমিক-মালিক সবাইকে সুসম্পর্ক রক্ষা করে উৎপাদন বৃদ্ধি আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের সব সমস্যার সমাধানে ও দেশের উন্নয়নে যা করার সরকার করবে, এজন্য কারো দুয়ারে দুয়ারে ঘোরার দরকার হবে না। তবে রুটি-রুজির কারখানা ভাঙচুর করে নিজেরাই নিজেদের সর্বনাশ করবেন না।

যুক্তরাষ্ট্রে আন্দোলন করলে চাকরি যায়, আর বাংলাদেশে বসে আলোচনা করে সমাধান করা হয়; এটাই তফাৎ। যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পহেলা মে দিবসকে শ্রমিক সংহতি দিবস ঘোষণা করেছিলেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু এদেশের মানুষের বৈষম্য কমাতে চেয়েছিলেন।

বিনা জামানতে বর্গা চাষীদের ঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, খাদ্য সঙ্কট সমাধানের এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না। কারো কাছে হাত পেতে নয়, বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে বাংলাদেশ।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক