কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের অভিযান, গ্রেপ্তার অর্ধশত
যুক্তরাষ্ট্রের নামকরা কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে চলমান ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ দমাতে আরও কঠোর হলো নিউইয়র্ক পুলিশ। শত শত পুলিশ সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মধ্যে ঢুকে শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি তাদের দখলে রাখা হ্যামিল্টন হলের সামনে থেকে ব্যারিকেড সরিয়ে দিতে শুরু করেছে।
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন ও গণহত্যা বন্ধের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যামিল্টন হল দখল করে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে শত শত শিক্ষার্থী। এরপরই মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে ক্যাম্পাসের মধ্যে অভিযান শুরু করে নিউইয়র্কের পুলিশ বিভাগ। এ সময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রায় তিন ঘণ্টার অভিযানে, ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভকারীদের বের করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন। কয়েক ডজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের অভিযানের সময় ঘটনাস্থলে একজন ছাত্র জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
গ্রেপ্তার অভিযানের সময় পুলিশ চারটি স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করে। নিউইয়র্ক পুলিশ দাবি করেছে, তাদেরকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল কিছু বিক্ষোভকারী পুলিশকে। নিউইয়র্ক পুলিশের ভিডিওতে দেখা গেছে তারা হ্যামিল্টন হলের দ্বিতীয় তলার জানালা দিয়ে ভবনে ঢুকে পড়ছে।
কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা ফেরাতে তাদের অনুরোধে নিউইয়র্ক পুলিশ বাহিনী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে। হ্যামিল্টন হল দখল ও ভাংচুরের খবর পেয়ে কর্তৃপক্ষ পুলিশ ডাকতে বাধ্য হয়। বিক্ষোভকারীদের কারণে ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হতে পারে না।
নিউইয়র্ক পুলিশ জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে একাডেমিক ভবন হ্যামিল্টন হলে তারা প্রবেশ করছে। সেখানে অবস্থান নেয়া বিক্ষোভকারীদের সবাইকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এর আগে, কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলো।
ইসরাইলের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন ব্যক্তি ও কোম্পানিকে বয়কটের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরেই প্রচণ্ড ছাত্র বিক্ষোভ চলছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। এর আগে কলাম্বিয়ার শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের অনেকে কমলা ও হলুদ রঙের ভেস্ট পড়ে বিক্ষোভকারীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে অবস্থান নিয়েছিলেন।