All Postক্রাইম সিন

জনগণের কাছে বিচারের ভার দিলাম: জামিন পেয়ে ড. ইউনূস

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের সংরক্ষিত ফান্ডের লভ্যাংশের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন এ আদেশ দেন। অভিযোগ গঠনের শুনানির পরবর্তী তারিখ আগামী ২ জুন ধার্য করা হয়েছে।

আদালত থেকে বের হয়ে ড. ইউনূস বলেন, দুদক আমার বিরুদ্ধে ভয়াবহ অভিযোগ এনেছে। গ্রামীণ ব্যাংকের মালিক আমি নই। সুদ যদি কেউ গ্রহণ করে থাকে, তাহলে ব্যাংকের মালিক-সদস্যরা করেছে। ৯৭ শতাংশ সদস্য গ্রামীণ ব্যাংকের মালিক।

নিজেকে গ্রামীণ ব্যাংকের একজন কর্মচারী উল্লেখ করে শান্তিতে নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ বলেন, এক কোটি মানুষকে আমি একটি ব্যাংকের মালিক বানিয়েছি। আজকে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটা সুস্থ মস্তিষ্কের কোনো মানুষ করতে পারে না। আমি জনগণের কাছে বিচারের ভার দিলাম।

উল্লেখ্য, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের প্রায় ২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন দেয় দুদক। গত বছরের ৩০ মে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এ মামলা করেন।

গত ২ এপ্রিল ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। ওইদিন মামলাটি বিচারের জন্য বদলি করা হয় বিশেষ জজ আদালত-৪ এ।

ড. ইউনূস ছাড়া জামিন পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন– ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।

এছাড়া, জামিন পেয়েছেন অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম, দফতর সম্পাদক কামরুল ইসলাম।

এ সর্ম্পকিত সংবাদ

Back to top button