দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া অতি তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বন্ধ থাকার পর শনিবার দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু হবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এমএ খায়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
এতে বলা হয়েছে, তাপপ্রবাহের কারণে অঞ্চলভেদে বিভিন্ন জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছিলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের আদেশ দিয়েছিলেন উচ্চ আদালত।
শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকছে। আর শনিবার থেকে সপ্তাহে ছয়দিন (শুধু শুক্রবার ছুটি) মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম চলবে।
স্বাভাবিক শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। তবে এখন কতদিনের জন্য শনিবার শ্রেণিকার্যক্রম চলবে- এ বিষয়ে এমএ খায়ের বলেন, এটি সাময়িক। শিখন ঘাটতি পূরণ হলেই শনিবারের সিদ্ধান্ত বদল করা হবে।
রোজার ঈদের টানা ছুটি শেষে গত ২১ এপ্রিল সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও তাপপ্রবাহের কারণে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয় ছুটি। এতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়।
এরপর আবার ২৮ এপ্রিল শর্তসাপেক্ষে খুলে দেওয়া হলে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়। গত সোমবার দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের অসুস্থ হওয়া ও হিট স্ট্রোকে ১৮ জনের মৃত্যুর ঘটনায় প্রকাশিত প্রতিবেদন হাইকোর্টের নজরে আনেন এক আইনজীবী।
তখন স্বপ্রণোদিত হয়ে প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসার ক্লাস বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ওইদিনই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে। তবে আদালতের আদেশ হাতে না পাওয়ায় কোনো নির্দেশনা দেয়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তবে যেহেতু বিচার বিভাগ আদেশ দিয়েছেন, সেই আদেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে বৃহস্পতিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে স্কুল-মাদ্রাসার ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার ঘোষণা দিলেও পরে তা করেননি শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। ফলে হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসায় আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ছুটি বহাল থাকে।