প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিক চাপ রয়েছে দেশে। এর মধ্যও যথাসময়ে বাজেট দেওয়া হবে এবং তা বাস্তবায়ন করা হবে।
শুক্রবার সকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ২২তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে দেশের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দেয়া হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা ক্ষমতা দখল করেছিলো তাদের সময় দেশের মাথাপিছু আয় বাড়েনি, কারণ গণতন্ত্র বা গণতান্ত্রিক ধারা ছাড়া দেশ এগুতে পারেনা। রাজনীতিবিদদের জনগণের কাছে ওয়াদা থাকে। ক্ষমতা যারা দখল করে তাদের জনগণের কাছে ওয়াদা থাকে না। দেশে একের পর এক ক্যু হয়েছে। যে কারণে দেশ স্থিতিশীল হতে পারেনি।
তিনি বলেন, ৭৪ এ দুর্ভিক্ষের চিত্র তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকে দেশে বিদেশে হেয় করা হয়েছে। দেশে ফেরার পর দেখেছি দিনের পর দিন দুর্ভিক্ষ। মানসিক ভারসাম্যহীন যে বাসন্তির ছবি দেখিয়ে এতো বড় ক্ষতি করা হলো, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সেই বাসন্তির কোন খবর নেয়নি ক্ষমতা দখলকারিরা। বঙ্গবন্ধুর জীবন নিয়েও বাসন্তিদের কোন পরিববর্তন আসেনি।
তিনি আরও বলেন, স্বৈরশাসকেরা শুধু ক্ষমতা ভোগ করা বুঝতো। কে কোন ব্র্যান্ডের জিনিস পড়বে সেসব নিয়েই ব্যস্ত থাকতো। আসলে স্বৈরশাসকেরা যখন ক্ষমতায় আসে তখন দুর্নীতিই নীতি হয়ে যায়। জিয়াউর রহমানের সময়ই খেলাপি ঋণের কালচার শুরু হয়। যা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ধীরে ধীরে তা কমাতে শুরু করে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাবা মা ভাই হারিয়ে বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে দেশে ফিরেছিলাম। দেশের মানুষের মধ্যেই নিজের হারানো পরিবারকে খুঁজে পেয়েছিলাম। অর্থনীতি বলতে আমি বুঝি শুধু মানুষের কল্যাণ করতে হবে। আমার প্রতিটি কাজের ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে বেসরকারি খাত উন্মুক্ত করা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। গ্রাম-গঞ্জ পর্যন্ত প্রযুক্তিগত যোগাযোগ তৈরি করা হয়েছে। সমুদ্র সম্পদকে কাজে লাগাতে হবে। বাজার তৈরি করতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে হবে, কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে। তরুণদের নিজে উদ্যোক্তা হতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।