রবিবার , ১৯ ডিসেম্বর ২০২১ | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

রাষ্ট্রপতির সংলাপে নতুন কোনো বার্তা পাওয়া যাবে কি?

প্রতিবেদক

ডিসেম্বর ১৯, ২০২১ ৩:২৫ পূর্বাহ্ণ

আগামীকাল ২০ ডিসেম্বর নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংলাপ শুরু করবেন। দেশে বর্তমানে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৩৯। ফেব্রুয়ারিতে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে। নির্বাচন কমিশন গঠনের আগে রাষ্ট্রপতির এই সংলাপের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। বরং এটি একটি প্রক্রিয়ামাত্র।

নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান যে পদ্ধতি অনুসরণ করেছিলেন, বর্তমান রাষ্ট্রপতি সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখছেনমাত্র। বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে ২০১৬ সালের ১৮ ডিসেম্বর বিএনপির সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে সংলাপ শুরু করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সেসময়ে এক মাস চলা সংলাপে দেশের ৩১টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। বিগত দিনের অভিজ্ঞতায় যা দেখা যায় তা হলো, মহামান্য রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের একজন জ্যেষ্ঠ বিচারপতিকে প্রধান করে একটি সার্চ কমিটি গঠন করে দেন। সেই সার্চ কমিটি প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কাছে কমিশনের সদস্য হিসাবে পাঁচটি নাম প্রস্তাব আকারে আহ্বান করেন। দলগুলো লিখিতভাবে নাম প্রস্তাব করার পর সার্চ কমিটি তা যাচাই-বাছাই করে ১০ জনের একটি শর্টলিস্ট তৈরি করে রাষ্ট্রপতি বরাবর পাঠান। রাষ্ট্রপতি সেখান থেকে একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চারজন কমিশনার নিয়োগ দেন। বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়াটি এভাবেই হয়েছিল।

নির্বাচন কমিশন কীভাবে গঠিত হবে, তা সংবিধানে স্পষ্ট করেই উল্লেখ আছে। সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনারকে লইয়া বাংলাদেশের একটি নির্বাচন কমিশন থাকিবে এবং উক্ত বিষয়ে প্রণীত কোনো আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগদান করিবেন।’ এই যে আইন প্রণয়নের কথা বলা হয়েছে, গত ৫০ বছরের কোনো সরকারই নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো আইন প্রণয়ন করেনি। প্রতিটি সরকারই কমিশন গঠনের সুবিধাটুকু নিজের হাতে রেখেছে। প্রতিটি সরকারই চায় রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে নিজেদের লোকদের কমিশনে নিয়োজিত করতে। তাই বর্তমান সংলাপ একটি ধারাবাহিকতামাত্র।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক