কয়েক বছরের আইনি লড়াই শেষে ব্রিটিশ কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ।
মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছে অপরাধ স্বীকার করে নেয়ার চুক্তিতে যুক্তরাজ্যের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ এড়াতে তার দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের অবসান হলো।
গত পাঁচ বছর ধরে ব্রিটেনের কারাগার বন্দি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে আইন লড়াই চালিয়ে আসছিলেন অ্যাসাঞ্জ। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আপস রফায় পৌঁছানোর পর তিনি মুক্ত হয়ে যুক্তরাজ্য ছেড়েছেন বলে জানিয়েছে উইকিলিকস।
মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে উইকিলিকস জানিয়েছে, জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ মুক্ত। সোমবার জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ বালমার্স কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছেন। ১ হাজার ৯০১ দিন তিনি এ কারাগারে বন্দি ছিলেন।
৫২ বছর বয়সী অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত তথ্য ফাঁসের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছিলো। যুক্তরাষ্ট্র বলে আসছে, ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধের নথি ফাঁস করে বহু মানুষের জীবনকে হুমকিতে ফেলেছে উইকিলিকস।
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ ২০০৬ সালে উইকিলিকস নামের ওয়েবসাইট প্রতিষ্ঠা করেন
চুক্তি অনুযায়ী অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রের হেফাজতে যেতে হবে না। যুক্তরাষ্ট্রে যে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আনা হয়েছিল, সেই অপরাধ তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন বলে ধরা হবে এবং যুক্তরাজ্যে কারাবন্দি থাকার সময়কে সাজা খাটা হিসেবে গণ্য করা হবে।
যুক্তরাজ্যের কারাগার থেকে মুক্ত অ্যাসাঞ্জ তার নিজের দেশ অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যাবেন বলে মার্কিন বিচার বিভাগের এক চিঠিতে জানানো হয়েছে।
লেবাননে বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরাইলকে সমর্থন দেবে যুক্তরাষ্ট্রলেবাননে বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরাইলকে সমর্থন দেবে যুক্তরাষ্ট্র
২০০৬ সালে উইকিলিকস চালু করেন অ্যাসাঞ্জ। এতে তিনি একের পর এক গোপন মার্কিন নথিপত্র প্রকাশ করতে থাকেন। ২০১০ সালের জুলাইয়ে উইকিলিকস আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযানের প্রায় ৭০ হাজার নথি প্রকাশ করেছিল। এসব তথ্য পরে বিশ্ব গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
উইকিলিকস দুষ্প্রাপ্য দলিল অপ্রকাশিত সূত্র ও মাধ্যম থেকে প্রকাশ করে। সাইটটি দাবি, তাদের ডাটাবেজে ১.২ মিলিয়নেরও বেশি ডকুমেন্টস বা দলিল রক্ষিত আছে এবং প্রতিদিনই তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।