বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বহরে যুক্ত হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি আরেকটি সামরিক পরিবহণ উড়োজাহাজ। আর এর মাধ্যমে বিমান বাহিনীতে সি-১৩০জে মডেলের উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়ালো পাঁচটিতে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুতে অবতরণ করে নতুন আনা উড়োজাহাজটি। ঐতিহ্যগত রীতি মেনে ওয়াটার ক্যানন দিয়ে বিমানটিকে অভ্যর্থনা জানানো হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক। এছাড়াও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আইএসপিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বর্তমান সরকার বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আধুনিকায়নে অত্যন্ত সচেষ্ট।
এরই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পাঁচটি অত্যাধুনিক সি-১৩০জে পরিবহন বিমান যুক্ত করতে যুক্তরাজ্যের রয়েল এয়ার ফোর্সের সঙ্গে সরাসরি ক্রয় চুক্তি এবং মার্শাল এরোস্পেস এন্ড ডিফেন্স গ্রুপর সঙ্গে রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি হয়েছে।
বিমানটি যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর নিজস্ব বৈমানিকরা নিয়ে আসেন। আর এই মিশনের নেতৃত্ব দেন বিমান বাহিনীর এয়ার কমডোর সৈয়দ ফকরুদ্দিন মাসুদ। যাত্রা পথে বিমানটি তুরস্কের আনতালিয়া ও ওমানের মাসকাটে যাত্রা বিরতি করে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদনকারী শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি লকহিড মার্টিনসের তৈরি সি-১৩০জে পরিবহন বিমানটি অত্যাধুনিক এভিওনিক্স ও উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন।
আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মালামাল ও সৈন্য পরিবহনসহ দেশে এবং বিদেশে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ব্যবহৃত হবে।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে অত্যাধুনিক সি-১৩০জে বিমানের অন্তর্ভুক্তিতে বিমান বাহিনীর বিশ্বের যে কোনো স্থানে পৌঁছানো ও পরিচালন ক্ষমতা সর্বোপরি বাহিনীর সক্ষমতাকে বহুলাংশে বৃদ্ধি করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।