দেশের অন্যতম বড় চিনিকল ও ডিস্ট্রিলারিজ চুয়াডাঙ্গার দর্শনার কেরু অ্যান্ড কোম্পানি থেকে প্রায় ১৩ হাজার লিটার ডিনেচার স্পিরিট গায়েব হয়ে গেছে। এ ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে, তদন্তে মাঠে নেমেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও কেরুর তিনটি দল।
কেরুর স্পিরিট গায়েব হওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে ডিনেচার স্পিরিটের বদলে ‘মদ গায়েব’-এর প্রতিবেদন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এতে কেরু কর্তৃপক্ষ পড়েছে আরও বিপাকে।
ঘটনা দুই মাস আগের। গত ২ মে কেরুর ডিস্টিলারির ভ্যাট ডিনেচার গোডাউনের ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন কোম্পানিটির ব্যবস্থাপক বরাবর ১৩ হাজার লিটার স্পিরিটের হিসাবে গড়মিলে পাওয়ার লিখিত অভিযোগ দেন। এ তথ্য ফাঁস হওয়ায় পরই নড়েচড়ে বসে কর্তৃপক্ষ।
এরপর গত ২৬ জুন একটি তদন্ত কমিটি করে কেরু কর্তৃপক্ষ, সাতদিনের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। স্পিরিট গায়েবের ঘটনায় তদন্তে নেমেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
যশোর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আসলাম উদ্দিনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
এছাড়া আরেকটি তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে কেরু অ্যান্ড কোম্পানির চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইউসুফ আলীকে। তিনটি অনুসন্ধান দলই তাদের কাজ শুরু করেছেন। তবে স্পিরিট গায়েবেরে ঘটনায় এখনই কিছু বলতে চাচ্ছেন না তারা।
এদিকে ১৩ হাজার লিটার স্পিরিট গায়েবের বিষয়টি ফাঁস হওয়ার কারণে কেরুর মিল পাড়ায় নানা জল্পনা ও গল্প জমে উঠেছে।
তবে একাধিক তদন্ত টিম গঠন ও দফায় দফায় তাদের অভিযানে আশ্বস্ত হতে পারছে না স্থানীয়রা। তারা স্পিরিট গায়েবের ঘটনায় দোষীদের শান্তি দেখার অপেক্ষায় আছেন বলে জানিয়েছেন।
ব্রিটিশ আমলে ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কেরু অ্যান্ড কোম্পানি। ব্যক্তি উদ্যোগের এই কোম্পানির বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এটি রাষ্ট্রায়ত্ত করা হয়।
সাড়ে তিন হাজার একর জায়গাজুড়ে কেরুর বিশাল শিল্প শিল্প-কমপ্লেক্সটি চিনি কারখানা, ডিস্টিলারি ওয়াটার, বাণিজ্যিক খামার ও জৈব সার কারখানা নিয়ে গঠিত।