মঙ্গলবার , ১৬ জুলাই ২০২৪ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

সকল স্কুল-কলেজ বন্ধ, বৃহস্পতিবারের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত

প্রতিবেদক
Newsdesk
জুলাই ১৬, ২০২৪ ৯:১৬ অপরাহ্ণ

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাস বন্ধ করেছে সরকার। একই সঙ্গে আগামী বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠেয় সকল বোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সারা দেশে কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও সরকার সমর্থকদের সংঘর্ষের মধ্যে ছয় নিহত হওয়ার পর রাতে এই সিদ্ধান্তের কতা জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিদ্যালয় ও কলেজগামী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শ্রেণি কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

বাঙলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির এক বিজ্ঞপ্তিতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিতের কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২১ জুলাই থেকে পরীক্ষা আগের সূচি অনুযায়ী চলবে।  স্থগিত হওয়া পরীক্ষার সময়সূচি পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।

চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং মহাসড়কে বিক্ষোভ করেছে আন্দোলনকারীরা। বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও সরকার সমর্থকদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এর জের ধরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া ও রাজশাহীতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে রাজধানীর ১৫-২০টি স্থানে একযোগে সড়ক অবরোধ শুরু করেন কোটা আন্দোলনকারীরা। অবরোধে স্থবির হযে পড়ে রাজধানী। যানজটে নাকাল হয় নগরবাসী। দুপুরের পর থেকে ঢাকার সায়েন্সল্যাব ও চানখারপুল এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়।

২০১৮ সালে সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষার্থীরা দুই সপ্তাহ ধরে টানা আন্দোলন চালিয়ে আসছে।

এর মধ্যে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দেন, সরকারি চাকরিতে কোটার বিষয়টি আদালতেই ফয়সালা করতে হবে।

বক্তব্যের এক পর্যায়ে সরকারপ্রধান বলেন, কোটা আন্দোলন করার আগে তো তাদের রেজাল্টগুলো দেখা উচিত ছিলো যে- কোথায় তারা দাঁড়িয়েছে! মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি তাদের এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি পুতিরা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতি পুতিরা (চাকরি) পাবে?

ধারাবাহিক আন্দোলনের মধ্যে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওই বক্তব্য নিয়ে রোববার রাতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখান, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে গভীর রাতে বিক্ষোভে নামেন। স্লোগানে তারা নিজেদের ‘রাজাকার’ পরিচয় দেন।

তারই জের ধরে সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় কোটা আন্দোলনকারীদের। ওই সংঘর্ষে দুই পক্ষের প্রায় তিনশ জন শতাধিক আহত হন।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক