সহিংস কোটা আন্দোলনে ছয়জনের প্রাণহানি এবং রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলমান সংঘর্ষের জেরে মোবাইল ইন্টারনেট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এ সিদ্ধান্তে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা দুর্ভোগে পড়লেও ’খুব অল্প সময়ের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, এটা পূর্বের কোনো ঘোষণা ছিল না। পরিবেশ-পরিস্থিতির প্রয়োজনীয়তার প্রেক্ষিতে গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতার স্বার্থে আমরা প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছি।
মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধের কারণ নিয়ে পলক বলেন, সোশাল মিডিয়াকে গুজব, মিথ্যা, অপপ্রচার চালানোর অস্ত্র হিসেবে বেছে নিয়েছে একটি গোষ্ঠী। শুধু দেশের ভেতর থেকে না, দেশের বাইরে থেকে কিছু কনটেন্ট বুস্ট করা হচ্ছে।
‘তার মানে টাকা দিয়ে মিথ্যা খবরটাকে সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার যে অপকৌশল বা ষড়যন্ত্র- এটা যখন আমরা দেখছি তথ্য-উপাত্ত এবং গোয়েন্দা সংস্থার সকল বিশ্লেষণে; তখন আমরা মনে করছি, দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের যার যতোটুকু সক্ষমতা আছে, সেটা করা দরকার,’ যোগ করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী পলক আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি, খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমরা পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটাতে পারবো,’ যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।
কোটা আন্দোলন সহিংস রূপ নেওয়ার পর মঙ্গলবার রাত থেকেই মোবাইল ইন্টারনেটের গতি ধীর হয়ে যায় বলে ব্যবহারকারীরা অভিযোগ করছিলেন।



















