রবিবার , ২৮ জুলাই ২০২৪ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

ফেসবুক চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত ৩১ জুলাই

প্রতিবেদক
Newsdesk
জুলাই ২৮, ২০২৪ ১:১৫ অপরাহ্ণ

আপাতত ফেসবুক-টিকটকসহ সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

রোববার তিনি জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষ দায়িত্বশীল আচরণ করলে এবং দেশের আইন মেনে চললে তাদের প্ল্যাটফর্ম দেশে উন্মুক্ত হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। ব্যাখ্যা সন্তোষজনক হলে পরে ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খুলে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, সহিংসতায় কনটেন্টগুলোর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, সে বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে এবং তাদের (ফেসবুক-ইউটিউব-টিকটক) ৩১ জুলাই বিটিআরসিতে এসে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

২৫ জুলাই ইন্টারনেটের গতি বাড়াতে ফেসবুক, টিকটক, আকামাই ও বাইজেন ক্লাউড ক্যাশ সার্ভার বাদে গুগলসহ অন্য ক্যাশ সার্ভার চালুর জন্য নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

গুগলের ক্যাশ সার্ভার চালু থাকায় ইউটিউব ব্যবহার করা গেলেও বিটিআরসি ফেসবুক-টিকটকের পাশাপাশি ভিডিও শেয়ারিং এ প্লার্টফর্মটিকেও ডেকে পাঠিয়েছে।

ক্যাশ সার্ভার হল গুগল, ফেসবুক কিংবা ইউটিউবের মতো সাইটগুলোর প্রধান সার্ভারের সঙ্গে সংযুক্ত সহযোগী নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা বা স্থানীয় ডেটা সংরক্ষণ ব্যবস্থা।

বাংলাদেশ থেকে গ্রাহকরা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেন গুগল, ইউটিউব কিংবা ফেসবুকের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো। এগুলোর মূল সার্ভার রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্যাশ সার্ভার বন্ধ থাকলে বাংলাদেশে বসে গুগল, ইউটিউব, ফেসবুক ব্যবহার করার সময় যদি সরাসরি আমেরিকার সেই সার্ভার থেকে ডেটা পেতে হয় তাহলে সেটার গতি অনেক কমে যাবে।

এই সমস্যা সমাধানে ইউটিউব, ফেসবুকসহ অধিকাংশ প্ল্যাটফর্মই ক্যাশিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসছে।

ইন্টারনেটের ওই প্ল্যাটফর্মগুলো বিভিন্ন আইএসপি অর্থাৎ ইন্টারনেট সেবা দানকারী সংস্থাগুলোকে ক্যাশ সার্ভার দিয়ে থাকে। এই ক্যাশ সার্ভারের কাজ হল প্রধান সার্ভারের সাথে সার্বক্ষণিক যুক্ত থেকে প্রধান সার্ভারের তথ্য ক্যাশ সার্ভারে নিয়ে আসা।

এর সুবিধা হল, যখন কোন ইউজার ইউটিউব কিংবা ফেসবুকের মতো সেবা ব্যবহার করবেন, তখন সেটি আর আমেরিকার সার্ভার খুঁজবে না বরং কাছাকাছি যে স্থানীয় সার্ভার আছে সেটা থেকেই ডেটা নিয়ে আপনাকে প্রদর্শন করবে। কারণ ওই কন্টেন্ট স্থানীয় ইন্টারনেট সেবাদাতার ক্যাশ সার্ভারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জমা আছে।

পরবর্তীতে একই কনটেন্ট যদি ওই দেশটির কোন গ্রাহক সার্চ করে, তখন স্থানীয় সার্ভার থেকে অল্প ডেটা খরচ করে ওই তথ্য খুব দ্রুত পাওয়া যায়। ফলে নতুন করে আমেরিকা বা ইউরোপ থেকে পুনরায় পুরো নেটওয়ার্ক ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে না।

এক কথায় ক্যাশ সার্ভার যতো কাছাকাছি থাকবে গ্রাহকরা ততো দ্রুত সার্ভিস পাবে বলে জানিয়েছেন প্রযুক্তিবিদরা। ক্যাশ সার্ভার মূলত মূল সার্ভার ও ব্যবহারকারীদের মধ্যে দূরত্ব কমানোর কাজ করে। সেইসাথে সার্ভার ও ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের চাপ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক

আপনার জন্য নির্বাচিত