কোটা আন্দোলনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ অন্যান্য নিহতদের স্মরণে মঙ্গলবার একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলন নিয়ে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে সেটা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষ থেকে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে। এখানে অন্যান্য মন্ত্রীরাও তাদের পক্ষ থেকে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেছেন, সেসব তথ্য পর্যালোচনা করে মন্ত্রিসভা দুটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, একটি হলো ওইদিনের ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন, কোটা আন্দোলন নিয়ে সংঘাতের ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন, তাদের জন্য একটি শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করেছে মন্ত্রিসভা। সেই প্রস্তাবটা আনুষ্ঠানিকভাবে নেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় যেটি করা হয়েছে, আগামীকাল দেশব্যাপী শোক পালন করা হবে। সেই শোক পালনের অংশ হিসেবে কালো ব্যাজ ধারণ করা হবে। মসজিদে দোয়া এবং মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডায় প্রার্থনা করা হবে।
শোক পালনের সময় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে কি না এ বিষয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, মন্ত্রিসভায় যে সিদ্ধান্ত হয়েছে আমি সেটি আপনাদের জানিয়েছি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কতজন নিহত হওয়ার তথ্য জানিয়েছেন- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তিনি গতকালকে ১৪৭ জন বলেছিলেন, আজকে আরও বোধহয় তিনজন যোগ হয়েছে। তিনি ১৫০ জনের (নিহত হওয়ার কথা) বলেছেন।
কোটা আন্দোলন ঘিরে সংঘাত ও সহিংসতায় ১৪৭ জন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলন শুরু হয় ১ জুলাই। ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষের পর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে প্রায় সারাদেশে।
এর পরদিন থেকে এ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা, সংঘর্ষ, সহিংসতা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এরপর থেকে গণমাধ্যমে হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করলেও সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রথম মৃতের সংখ্যা জানানো হলো।