বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। তার দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে।
এছাড়া সাম্প্রতিক আন্দোলনে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন, হতাহতের ঘটনা যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে দুঃখিত বলেও জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পদ থেকে পদত্যাগ করে বাংলাদেশ ত্যাগের ঘোষণা আমরা দেখেছি। আমরা সতর্কতার সাথে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরা সব পক্ষকে আরও সহিংসতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই।
মিলার বলেন, পরিশেষে এই সপ্তাহান্তে এবং গত সপ্তাহে মানবাধিকার লঙ্ঘন, হতাহতের ঘটনা এবং আহতের রিপোর্টে আমরা গভীরভাবে দুঃখিত। যারা প্রিয়জন হারিয়েছেন এবং যারা কষ্ট পাচ্ছেন তাদের প্রতি আমরা আমাদের গভীর সমবেদনা জানাই।
পরে এক সাংবাদিক বাংলাদেশের চলমান ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে শত শত হত্যাকাণ্ডের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি এখনও অস্পষ্ট। ছাত্র-জনতা, নেতা, বিরোধী দল, সেনাবাহিনী বেসামরিক সরকার গঠনের চেষ্টা করছেন। আপনি কি অনুগ্রহ করে এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সম্পর্কে আরও তথ্য প্রদান করতে পারেন?
জবাবে মিলার বলেন, আমাদের সমবেদনা অবশ্যই তাদের প্রতি আছে যারা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সহিংসতায় আহত হয়েছেন। আমরা এখন সহিংসতার অবসান এবং জবাবদিহিতাকে সমর্থন করার দিকে মনোনিবেশ করছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংক্রান্ত সকল সিদ্ধান্ত গণতান্ত্রিক নীতি, আইনের শাসন এবং বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই নেওয়া উচিত।