ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ৯০ এর স্বৈরাচারবিরোধী গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম ছাত্রনেতা ইসহাক আলী খান পান্নার (৬০) মৃত্যু হয়েছে, এমন খবর আগে পাওয়া গেলেও তার মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিলো।
পান্নার মরদেহ এখন ভারতের মেঘালয় রাজ্যে রয়েছে এবং বাংলাদেশ সীমান্তের অদূরে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ভারতীয় পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের পিরোজপুর জেলা কমিটির কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসহাক আলী খান পান্না, যিনি হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন, তাকে মেঘালয়ে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে মেঘালয় পুলিশ বৃহস্পতিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, পান্নার পোস্টমর্টেম বা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে বোঝা যায় যে, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
মেঘালয় পুলিশ জানিয়েছে, গেলো ২৬ আগস্ট রাজ্যটির পূর্ব জৈন্তিয়া পাহাড়ের দোনা ভোই গ্রামের একটি সুপারি বাগানের মধ্যে পান্নার আধা পচা মরদেহ পাওয়া যায়। এলাকাটি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে। পান্নার কাছে থাকা পাসপোর্ট থেকে মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে।
পান্নার ময়নাতদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, তার মৃত্যুর কারণ হলো শ্বাসরোধের কারণে সৃষ্ট শ্বাসকষ্ট।তার মরদেহ ফরেনসিক বিশ্লেষণের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এছাড়াও ইসহাক আলী খান পান্নার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানা গেছে। তার কপালে আঘাত এবং ক্ষত চিহ্ন রয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।