ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি এক কিশোর নিহত হয়েছেন। ছেলের মরদেহ আনতে গেলে বাবার ওপরও গুলি চালানো হয়েছে। তিনিসহ আহত দুইজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
রোবার গভীর রাতে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের কান্তিভিটা সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত কিশোরের নাম জয়ন্ত কুমার সিংহ (১৫)। তার বাড়ি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ফকির ভিটা গ্রামে। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন জয়ন্তর বাবা মহাদেব কুমার সিংহ। এছাড়া নিটালডোবা গ্রামের বাংঠু মোহাম্মাদ নামে আরেকজন আহত হয়েছেন।
আহতরা রংপুরের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।
ধনতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সমর কুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, ঘটনাটি আমার ইউনিয়নের। আমি শুনেছি যে, প্রথমে ছেলেটি নাকি ভারতে পাড়ি দেওয়ার জন্য বর্ডার ক্রস করতে যান। তখন বিএসএফ তাকে গুলি করে।
‘পরে মরদেহ আনতে তার বাবা সীমান্তে যান। বিএসএফ আবার তার বাবাকে লক্ষ্য করে পায়ে গুলি করে। তিনি বর্তমানে রংপুর চিকিৎসাধীন আছেন,’ বলেন তিনি।
ঘটনার নিশ্চিত করে বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ কবির বলেন, কী কারণে তারা সীমান্তে গিয়েছিলেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে নিহত ব্যক্তির মরদেহ বিএসএফের হেফাজতে রয়েছে।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও ব্যাটালিয়ন (৫০ বিজিবি) ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তানজির আহমদ বলেন, এমন একটি ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। এ বিষয়ে আমরা অনুসন্ধান চালাচ্ছি।
এর আগে গত পহেলা সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজারের জুড়ী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন বাংলাদেশি কিশোরী স্বর্ণা দাস। ওই হত্যাকাণ্ড নিয়ে ভারত সরকারকে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে পাঠানো প্রতিবাদ নোটে বাংলাদেশ সরকার, এ ধরনের নির্মম কর্মকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে ওই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ সরকার মনে করিয়ে দিয়েছে যে, সীমান্ত হত্যার এই ধরনের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অযৌক্তিক। এই ধরনের পদক্ষেপ সীমান্ত কর্তৃপক্ষের জন্য ভারত-বাংলাদেশ নির্দেশিকা, ১৯৭৫ এর বিধান লঙ্ঘন করে।