কক্সবাজারে রেকর্ড বৃষ্টিতে শহরের প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। প্রধান সড়কসহ শহরের ৫০টি উপসড়ক বৃষ্টির পানিতে ডুবে আছে। ওইসব এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসত বাড়িতে পানি প্রবেশ করে নষ্ট হয়েছে জিনিসপত্র।
এদিকে, লঘুচাপের প্রভাবে ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে বলে শুক্রবার বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
কক্সবাজারে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে রেকর্ড ৫০১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। চলতি মৌসুমে এটি একদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টির দেশের রেকর্ড এটি।
মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের এই পরিমাণ রেকর্ড করা হয়।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান গণমাধ্যমকে জানান, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টি সামনে আরও দুইদিন থাকতে পারে।
এদিকে নবাগত জেলা প্রশাসক সালাহ উদ্দিন জানিয়েছেন, পাহাড় ধস ও সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সর্বত্র সতর্ক করা হচ্ছে। উপজেলাগুলোর ইউএনওদের মানুষের পাশে থাকতে বলা হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত কক্সবাজারে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড় ধসে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিনগত মধ্যরাতে সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের ২ ওয়ার্ডের দক্ষিণ ডিককুল গ্রাম ও উখিয়ার ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।
এ অবস্থায় সাগরে ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে কক্সবাজার উপকূলে ছয়টি মাছ ধরা ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ আছেন পাঁচজন।
কক্সবাজার ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জানান, সাগর উপকূলে লাবণী চ্যানেলে শুক্রবার এফবি রশিদা নামে একটি এবং সাগরের ইনানী পয়েন্টে পাঁচটি ফিশিং ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এতে ট্রলারে থাকা মাঝি-মাল্লারা কূলে উঠতে পারলেও পাঁচ জেলে নিখোঁজ আছে।
এ ছাড়া মোহাম্মদ জামাল (৩৭) ও নুরুল আমিন নামে দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত জামালের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা এবং নুরুল আমিনের বাড়ি বাঁশখালী এলাকায়।
সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে ৩০ থেকে ৩৫টি ফিশিং ট্রলারের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।