খাগড়াছড়ির দীঘিনালার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাঙ্গামাটিতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়দের ভাষ্য, এই ঘটনা পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের রূপ নিয়েছে। এতে একজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া সংঘর্ষে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত, কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর ও দোকানপাটে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাঙ্গামাটি শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। মোতায়েন রয়েছে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবি।
শুক্রবার সকালে এই সংঘর্ষ, আগুন ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। এসময় একজনকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে তার পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, খাগড়াছড়ির দীঘিনালা ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকালে পাহাড়ি ছাত্ররা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাঙ্গামাটি শহরের বনরূপায় আসে। এসময় তারা বেশ কয়েকটি গাড়ি ও দোকানে হামলা চালায়। খবর পেয়ে বাঙালিরা প্রতিরোধে চেষ্টা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় বেশ কিছু দোকানে আগুন দেওয়া হয়। আহতও হয় বেশ কয়েকজন।
তারা জানান, পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে শহরের পরিস্থিতি এখনও থমথমে। পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবির যৌথ টিম টহল দিচ্ছে। এই সংঘর্ষের ঘটনার কারণে শহরে গাড়ি চলাচল ও মানুষের উপস্থিতি কমে গেছে।
এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাঙ্গামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন। যা পরের নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বলবত থাকবে।
রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতালের আরএমও বলেন, সংঘর্ষের ঘটনার পর একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মরদেহের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান এক গণ বিজ্ঞপ্তিতে বলে, ১৪৪ ধারা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বাঙালি ও পাহাড়িদের মধ্যে সংঘর্ষে তিন জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত ১৭ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ চারজন।