শুক্রবার , ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয়: তারেক রহমান

প্রতিবেদক
Newsdesk
সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪ ১০:২৯ অপরাহ্ণ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো বিপদমুক্ত নয়। এমন একটা পরিস্থিতিতে কোনো কোনো অপশক্তি যাতে আবার গণঅভ্যুত্থানের চূড়ান্ত লক্ষ্য এবং সাফল্যের ধারাকে ব্যাহত করতে না পারে সেজন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে সতর্ক থাকতে হবে।

দেশে-বিদেশের সর্বস্তরের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রতি জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করে তিনি আরও বলেন, ধর্মীয় পরিচয়ে বাংলাদেশে কেউ সংখ্যালঘু নয়, সবাই বাংলাদেশি।

শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তৃতাকালে তারেক রহমান এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সহ-সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু এবং হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব তপন দের যৌথ পরিচালনায় শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, অধ্যাপক ডা. এজেডএম ডা. জাহিদ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকার, ফেনীর কামাক্ষা চন্দ, খাগড়াছড়ির অজয় সেনগুপ্ত, সাভারের উত্তম ঘোষ, খুলনার সুজনা জলি, বরিশালের সঞ্জয় গুপ্ত, অবসরপ্রাপ্ত টিভি প্রযোজক মনোজ সেন গুপ্ত ও গৌড় সিনহা বক্তব্য রাখেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, গুম, খুন অপহরণ কিংবা আয়নাঘরের ভীতিমুক্ত পরিবেশে অনেক বছর পর আতঙ্কমুক্ত ও স্বাধীনভাবে আজকের এ অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। খুব সহজেই কিন্তু আজকের এরকম একটি সুন্দর পরিবেশের সৃষ্টি হয়নি। এ স্বাধীনমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বিগত ১৫ বছর ধরে দেশের সব ধর্ম-বর্ণের গণতন্ত্রকামী মানুষ আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে। আমাদের এ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় লক্ষ-কোটি জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে হাজারো শহীদের আর অসংখ্য ভাই-বোনের চরম আত্মত্যাগের বিনিময়ে আজকের এ স্বাধীন ও স্বস্তির পরিবেশে আমরা অর্জন করতে পেরেছি। স্বাধীন গণতন্ত্র আর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার এ রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানে যারা হতাহত হয়েছেন- আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি-দেশের জনগণ সারাজীবন তাদের এ আত্মত্যাগের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

তারেক রহমান বলেন, অগণতান্ত্রিক ও অবৈধ পতিত সরকার নিজেদের শাসন-শোষণ থেকে জনদৃষ্টি ভিন্নদিকে প্রবাহিত করতে বিভিন্ন সময়ে দেশে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চালিয়েছে। অনেকে এখনো চালাচ্ছেন কেউ কেউ। কিন্তু এদেরকে কিছুতেই সফল হতে দেওয়া হবে না।

বিএনপির এ শীর্ষ নেতা বলেন, ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার সবার।

এ সময় দেশের হিন্দু সম্প্রদায়কে নির্ভয়ে দুর্গাপূজার উৎসব পালনের আহ্ববান জানিয়ে তিনি বলেন, এ বাংলাদেশ আপনার-আমার, আমাদের সবার। বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক সব ক্ষেত্রে সমান অধিকার ভোগ করবে- এটাই বিএনপির নীতি, এটাই বিএনপির রাজনীতি। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের দল বিএনপি বিশ্বাস করে- দলমত ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার সবার।

তিনি বলেন, আগামী মাসেই আপনাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। এ উৎসব উপলক্ষে আমি আপনাদের আগাম শুভেচ্ছা জানাই। ইনশা-আল্লাহ আপনারা প্রত্যেকে উৎসব উদযাপন করুন নির্ভয়ে নিশ্চিন্তে নিরাপদে।

তারেক রহমান বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিশ্বাসী বলুন আর অবিশ্বাসী বলুন কিংবা সংস্কারবাদী প্রত্যেকটি নাগরিক রাষ্ট্র বা সমাজে যার যার ধর্মীয় রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক,সামাজিক অধিকারগুলো স্বাচ্ছন্দে বিনা বাধায় উপভোগ করবে এমন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ও সমাজ নির্মাণের জন্যই মুক্তিযোদ্ধারা লাখো প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন। কে মুসলমান, কে হিন্দু, কে বৌদ্ধ, কে খ্রিস্টান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আমাদের এমন কোনো জিজ্ঞাসা কিন্তু ছিল না। আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশে সংখ্যালঘু কিংবা সংখ্যাগুরু এসব নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি-অবাঙালি বিশ্বাসী অবিশ্বাসী কিংবা সংস্কারবাদী প্রতিটি নাগরিকের একমাত্র পরিচয় আমরা বাংলাদেশি।

তারেক রহমান বলেন, গত ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনে সবচেয়ে বড় উদাহরণ- গত ১৫ বছরে যা হয়েছে আপনারা দেখেছেন। সারাদেশে আইনের শাসন ছিল না বলেই কিন্তু প্রধান বিচারপতি হয়েও এসকে সিনহাকে অবিচারের শিকার হতে হয়েছিল। পলাতক স্বৈরাচারের আমলে আদালত আর আয়নাঘর একাকার হয়ে গিয়েছিল। সুতরাং সংখ্যালঘু কিংবা সংখ্যাগুরু দলমত ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেকটা নাগরিকের অধিকার এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে রাষ্ট্র ও সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক

আপনার জন্য নির্বাচিত