বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য আগামী ডিসেম্বর থেকেই চীন শতভাগ শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দেবে বলে দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সোমবার ঢাকার চীনা দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, গত ৫ সেপ্টেম্বর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বেইজিংয়ে চীন-আফ্রিকা সহযোগিতামূলক সম্মেলনে চীনের বাজার স্বেচ্ছায় উন্মুক্ত করার ঘোষণা দেন।
‘তবে যেসব দেশের সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে এবং যারা স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে আছে, সেগুলোসহ আফ্রিকার ৩৩টি দেশ পণ্য রপ্তানিতে শতভাগ শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে। চীনই প্রথম দেশ, যারা এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে,’ বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
আগামী পহেলা ডিসেম্বর থেকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিতে শতভাগ শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে বলে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে ২০২২ সালে চীন ৯৮ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়। তখন চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যসহ ৩৮৩টি নতুন পণ্য ছিলো। তারও আগে ২০২০ সালে ৯৭ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয় চীন।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি পণ্য আমদানি হয় চীন থেকে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে চীনের রপ্তানির পরিমাণ ছিলো ১৮ দশমিক ছয় বিলিয়ন ডলারের পণ্য। বাংলাদেশ থেকে চীনে রপ্তানি হয়েছিলো ৬৭৬ মিলিয়ন ডলারের পণ্য।