বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা ভোট দিতে চাই, ভোটের মাধ্যমে সরকার নির্বাচন করতে চাই।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে শেখ হাসিনা এই বাংলাদেশের মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন করে আমাদের অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছেন। তিনি নিজে ক্ষমতায় থাকার জন্য রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ড. ইউনূসকে সারা পৃথিবীর মানুষ শ্রদ্ধা করে। তিনি দেশের কয়েকজন বিশিষ্ট লোকদের নিয়ে সরকার গঠন করেছেন। আমরা তাদের বলেছি, আওয়ামী লীগের জঞ্জালমুক্ত করে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিতে।
এ সময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ফখরুল বলেন, এ শিল্পকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। আপনারা নেতাকর্মীরা সবাই মিলে শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে এদের প্রতিহত করুন। মনে রাখবেন, দেশের ৫০ লাখ মানুষ এ পেশার সঙ্গে জড়িত। আমাদের বৈদেশিক আয়ের সিংহভাগ এ শিল্প থেকে আসে।
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে ফখরুল বলেন, তার সময় আমাদের অনেক মানুষকে হত্যা করেছেন, শ্রমিক-দিনমজুর ও ছাত্রদের হত্যা করেছেন। নিজে ক্ষমতায় থাকার জন্য পুরো রাষ্ট্র ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছেন। বিশেষ করে পুলিশ বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে নির্যাতন করেছেন। এখন আমরা দম ফেলতে পারছি, রাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারছি।
আমরা ভারত সরকারকে বলেছি, যে খুনি দেশে গণহত্যা চালিয়েছে, অসংখ্য খুনের মামলার আসামি, যিনি দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে তাকে আশ্রয় দেবেন না। তারা আমাদের কথার জবাব দেয়নি। আমরা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলেছি, অবিলম্বে দেশ ধ্বংসকারী শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে ভারতের কাছে ফেরত পাঠাতে চিঠি দেন।
বাংলাদেশ শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সভাপতি সালাউদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে ও শ্রমিক নেতা মো. হুমায়ুন কবীর খানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এবং গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি এ কে এম ফজলুল হক মিলনসহ মহানগর ও জেলার শ্রমিক দল এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী সামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বাংলাদেশ জিাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মজিবুর রহমান ও হাসান উদ্দিন সরকার, গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকার প্রমুখ।