প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সে উল্লম্ফন হয়েছে সদ্য শেষ হওয়া সেপ্টেম্বর মাসে। আগের বছরের একই মাসের চেয়ে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৮০ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
টানা দ্বিতীয় মাসে দুই বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স আসার ধারায় গত সেপ্টেম্বরে এসেছে ২ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই মাসের চেয়ে ১ দশমিক ০৭ বিলিয়ন ডলার বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা সেপ্টেম্বরে প্রবাসী আয় পাঠানোর তথ্য দিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ৩০ সেপ্টেম্বরই রেমিট্যান্স এসেছে ৯৯ মিলিয়ন ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮০ শতাংশের বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিলো ১ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার।
আবার আগের মাস অগাস্টের চেয়ে বেড়েছে ৮ দশমিক ১০ দশমিক শতাংশ। আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছিলো ২ দশমিক ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যদিও ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় আগস্টের প্রথম ৯ দিন ঠিক মত রেমিট্যান্স আসেনি।
এর আগে চলতি বছর জুন মাসে ৪৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে। ওই মাসে ২ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার এসেছিলো।
চলতি বছর মে মাসে ডলারের বিনিময় হার ‘ক্রলিং পেগ’ পদ্ধতি চালু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাতে ডলারের দর এক লাফে ১১০ থেকে ১১৭ টাকায় উঠে যায়। এতে ব্যাংকিং চ্যানেলে বাড়তে থাকে রেমিট্যান্স
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, বিদায়ী মাস সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই রেমিট্যান্স আসার গতি ভালো ছিলো। প্রত্যাশা ছিলো পুরো মাসে দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স আসবে। মাসের পুরো সময়ে ২ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে রেমিট্যান্সের পরিমাণ। এখন বৈধ পথে রেমিট্যান্স আসার পেছনে ব্যাংকগুলোর সচেতনতা কাজ করছে। আবার বৈধ পথে ডলারের দর বৃদ্ধিতে হুন্ডি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বিভিন্ন দেশে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এসব কারণে বাড়ছে রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ।।