রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীরা। একপর্যায়ে তারা ব্যারিকেড ভেঙে বঙ্গভবনের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের বাধা দেন। এসময় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের।
মঙ্গলবার রাতে বঙ্গভবনের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লাঠিপেটা করে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। এতে বঙ্গভবন এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এ অবস্থায় পুলিশের আরও একটি দল বঙ্গভবন এলাকায় এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। তখন আন্দোলনকারীরা তাদের ধাওয়া দেন।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা সড়ক ছাড়বেন না।
এর আগে মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ, সংবিধান সংশোধন, বিগত তিনটি সংসদ নির্বাচন অবৈধ ঘোষণা, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধসহ মোট পাঁচ দফা নতুন দাবি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। দাবিগুলো মেনে নেওয়া না হলে শিগগিরই রাজপথে কঠোর কর্মসূচিরও ঘোষণা দিয়েছে ছাত্র সংগঠনটি।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেওয়ায় বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশ থেকে এসব দাবি তোলা হয়।
দাবিগুলো হলো-
- অনতিবিলম্বে ৭২ এর সংবিধান বাতিল করতে হবে। সে জায়গায় ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের পক্ষ থেকে নতুন করে সংবিধান লিখতে হবে।
- এই সপ্তাহের মধ্যে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে চিহ্নিত করে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। তাদের আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে।
- এই সপ্তাহের মধ্যে বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দীনকে পদচ্যুত করতে হবে।
- জুলাই বিপ্লব ও গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটের আলোকে ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই সপ্তাহের মধ্যে নতুন করে রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে।
- ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করতে হবে। এসব নির্বাচনে যারা নির্বাচিত হয়েছিল তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে। একই সাথে তারা যেন ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে কোনোভাবেই প্রাসঙ্গিক হতে না পারে ও নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সেজন্য আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
এর পরপরই রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে অবস্থান নেন ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত ছাত্রদের সংগঠন ও রক্তিম জুলাই ২৪ এর কর্মীরা।
অবস্থান কর্মসূচি থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগ করার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বঙ্গভবনের সামনে রাত্রিযাপনের ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।