সোমবার , ২৭ ডিসেম্বর ২০২১ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

ক্র্যাব নির্বাচন সমাচার

প্রতিবেদক

ডিসেম্বর ২৭, ২০২১ ৬:৩৭ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্রাইম রিপোটার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্র্যাবের বার্ষিক সাধারন নির্বাচন আগামী ৩০ ডিসেম্বর। সভাপতি, সাধারন সম্পাদকসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ন পদে প্রতিদ্বন্দীতা করছেন অনেকেই।

সভাপতি হিসেবে নির্বাচন করছেন মিজান মালিক( বর্তমান সভাপতি, দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকায় কর্মরত) রয়েছেন আবু সালেহ আকন্ ( জামায়াতে ইসলামের অর্থায়নে তৈরী দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকায় কর্মরত) রয়েছেন মির্জা মেহেদি তমাল ( বাংলাদেশ প্রতিদিন এ কর্মরত) । এই তিনজনের মধ্যে সাধারন ভোটার রা জানান আবু সালেহ আকন্ এর আগে বেশ কয়েকবার সাধারন সম্পাদকসহ ক্র্যাবের সভাপতি পদেও থেকেছেন।

কিন্তু এই সংগঠনের একটা পিকনিক এবং ক্র্যাব নাইট ছাড়া সাধারন ভোটারদের কোনো কিছুই উপহার দিতে পারেননী। আবু সালেহ আকন্ ক্র্যাবের নেতৃত্বকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে তিনি জামাতপন্থী সাংবাদিকদের প্যানেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য পদে প্রতিদ্বীতা করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজয় বরন করেন।

আবু সালেহ আকন্

আবু সালেহ আকন্

জামায়াতে ইসলামের সাথে সক্রিয় এই আবু সালেহ আকন্ প্রেসক্লাবে সুবিধা করতে না পেরে আবারও ফিরে আসেন ক্রাইম রিপোটার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্র্যাবে।

প্রেসক্লাব থেকে পরাজিত হয়ে আবারও তিনি ক্র্যাবের সভাপতি পদে প্রতিদ্বীতা করছেন। ভোটাররা জানান আবু সালেহ আকনের নির্বাচন করা তার একটা রোগের মত। সাধারন সদস্যরা জানান জাতীয় প্রেসক্লাব কেন্দ্রীক কোনো নেতা পরাজিত হয়ে আবারো নির্বাচন করে জেতাটা অনেক কঠিন। ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির নির্বাচনে প্রেসক্লাব নির্বাচনে পরাজিত শাখাওয়াত হোসেন বাদশা বিপুল ভোটে ডিআরইউতে পরাজিত হন। পরাজিত হয় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নে সাধারন সম্পাদক হিসেবে পরাজিত শুক্কুর আলী শুভও। তিনিও ডিআরইউ নির্বাচনে সভাপতি পদে লদে ৫জনের মধ্যে ৫ম স্থান লাভ করেন। তারপরেও আবু সালেহ আকনের সভাপতি পদে নির্বাচন করছেন। তাতে তার বিজয়ী হওয়া অনেকটা সুদুর পরাহত বিষয়। মিজান মালিক, বর্তমান ক্র্যাবের সভাপতি।


মিজান মালিক

মিজান মালিক

মিজান মালিক ২০২০ সালের নির্বাচনে যখন সভাপতি নির্বাচিত হন তখন তিনি দৈনিক যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি ছিলেন। সাধারন ভোটাররা জানান মিজান মালিক ক্র্যাবের সভাপতি পদ লাভের পর তার ব্যাক্তিগত অনেক লাভের পাশাপাশি তার চাকুরির সুবিধাও বাগিয়ে নেন। দৈনিক যুগান্তরে মিজান মালিক বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে থাকলেও নিজের সংগঠনের পদ ব্যবহার করে দৈনিক আমাদের সময়ের ডেপুটি এডিটর হিসেবে চাকুরি আদায় করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাধারন ভোটার রা বলেন মিজান মালিক দুদকের কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার এগনেস্ট করাপশন র‌্যাকের সভাপতি থাকার সময়েও সীমাহীন দূনির্তী করেন।

বিশেষ সম্পর্কের অসাধু দুদক কর্মকর্তাদের দিয়ে সাধারন ব্যবসায়ীদের হয়রানী করে সমঝোতার কথা বলে বিপুল টাকা চাদাবাজির পাশাপাশি র‌্যাকের সভাপতি হয়ে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে সাত বছর সভাপতির পদ কুক্ষিগত করে অবৈধভাবে টাকা আদায় করেন। পরবর্তীতে সেখানে তার ব্যাক্তিগত স্বেচ্ছাচারীতার কারনে র‌্যাকের আস্থার সংকট তৈরী হওয়াতে মিজান মালিক পা বাড়ান ক্র্যাবের দিকে। সেখানেও ক্র্যাবের সভাপতি হবার পর এই পদ দিয়ে বাগিয়ে নেন টাকা সিদ্বেশ্বরীতে ফ্ল্যাটসহ ডেপুটি এডিটর পদ। লোভ সংবরন করতে না পেরে সাধারন সদস্যদের সেবার কথা বলে আবাও সভাপতি পদে নির্বাচন করছেন মিজান মালিক। সাধারন সদস্যরা বলেন গত একবছরে মিজান মালিক নিজের আখের গোছানো ছাড়া দৃশ্যত সাধারন সদস্যদের কোনো কাজেই আসেননী।


মির্জা মেহেদি তমাল

মির্জা মেহেদি তমাল

মির্জা মেহেদি তমাল। বাংলাদেশ প্রতিদিনে কর্মরত মির্জা মেহেদি তমাল কয়েকবছর আগে ক্র্যাবের সহসভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেন। বড় কোনো পদে না থাকায় তার বিষয়ে সাধারন সদস্যদের প্রতিক্রিয়া হচ্ছে এবার ভোটার রা হয়তো তাকে একবার সুযোগ দিতে পারে। কারন অপর দুজনকে সভাপতি হিসেবে দেখার সুযোগ হলেও মির্জা তমাল বড় কোনো পদে না থাকায় তার বিষয়ে মূল্যায়নের সুযোগ হয়নি। সহসভাপতি পদে লড়ছেন নিত্য গোপাল তুতু, জাহাঙ্গীর আলম, শাহীন আব্দুল বারী। এর মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম এবং শাহীন আব্দুল বারী যথাক্রমে ইউএনবি এবং এসএটিভিতে কর্মরত থাকলেও সাধারন সদস্যরা জানান


নিত্যগোপাল তুতু

নিত্যগোপাল তুতু

নিত্যগোপাল তুতুকে আজ পর্যন্ত কোনো স্বীকৃত গনমাধ্যমে কাজ করতে দেখা যায়নি। নাম সর্বস্ব গনমাধ্যমকে ব্যবহার করে ক্র্যাবের নেতা হয়ে ধান্দাবাজি ছাড়া তার কোনো আয়ের উৎস সেই। অভিযোগ রয়েছে নিত্যগোপাল তুতু নিজের ধান্দাবাজির জন্য ক্র্যাব কার্যালয়কে বরাবরই ব্যবহার করে আসছেন। সাধারন সম্পাদক হিসেবেও নির্বাচন করছেন তিনজন।


আসাদুজ্জামান বিকু

আসাদুজ্জামান বিকু

আসাদুজ্জামান বিকু। খুলনার স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক পূর্বান্চলে ঢাকা অফিসের প্রধান। মামুনুর রশিদ ডেইলী অভজারভারে কর্মরত এবং ওমর ফারুক আল হাদীর বর্তমানে এই অনলাইনে কর্মরত। আসাদুজ্জামান বিকু সম্পর্কে সাধারন সদস্যরা জানান এই প্রার্থীর নির্বাচন করার আবু সালেক আকনের মতই নির্বাচনী রোগে ভোগেন আসাদুজ্জামান বিকু। গত চার বছর ধরে একাধারে নির্বাচন করে আসছেন তিনি। বছর চারেক আগে একবার সাধারন সম্পাদক পদে লড়াই করে পরাজিত হন তিনি। ২০১৯ সালে আবারও নির্বাচন করে সাধারন সম্পাদক পদে একবছরের জন্য নির্বাচিত হন। কিন্তু তাতেও থেমে থাকেনী তিনি। ২০২০ সালের পূনরায় নির্বাচন করেন সাধারন সম্পাদক পদে। সেখানেও পরাজিত হন। আবারও ২০২১ সালের নির্বাচনে সাধারন সম্পাদক পদে লড়াই করছেন। সাধারন ভোটাররা জানান বারবার নির্বাচন করা এবং পদে থাকা কথিত নেতাদের ভোটাররা আগের মত গ্রহন করছেননা। কারন নতুন নেতৃত্ব আসতে হবে। বারবার একই মুখ দেখতে দেখতে সবাই ক্লান্ত। অসুস্থতার নাটক করে বিকু কিছুদিন হাসপাতালের ভর্তি থাকেন। ভোটার রা জানান ভোটের আগে অনেক নাটক হয়। তারাও সেটা বোঝে। বোঝেনা শুধু তিনি যিনি অসুস্থতার নাটক করেন।


মামুনুর রশিদ

মামুনুর রশিদ

মামুনুর রশিদ ডেইলী অবজারভারে কর্মরত। মামুনুর রশিদ সবশেষ বেশ কয়েকবছর আগে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে থেকেছেন।


ওমর ফারুক আল হাদী

ওমর ফারুক আল হাদী

মামুনুর রশিদ আর ওমর ফারুক আল হাদী সজ্জন ব্যাক্তি হিসেবে ক্র্যাব সদস্যেদের কাছে পরিচিত। ক্র্যাবের সাধারন ভোটার রা জানান ক্র্যাবে এক ধরনের সিন্ডিকেট কাজ করে। যেটা অনেকটা প্রকাশ্যে। সেটা হচ্ছে জামাত বিএনপি আবু সালেহ আকন্দ গ্রুপ, আন্ডার গ্রাউন্ড গনমাধ্যম গ্রুপ । এদের দাপটে অন্য সদস্যরা অনেকজটা জিম্মী হয়ে থাকে ভোটের সময়। তবে গত কয়েকবছর ধরে সেটাও ধীরে ধীরে বাংতে শুরু করেছে বলে জানান ক্র্যাবের সাধারন সদস্যরা। তারা বলেন মেইনস্ট্রিমের সাংবাদিকরা ধীরে ধীরে সংগঠনের হাল ধরার চেস্টা করছেন।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক