রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন থাকবেন, নাকি থাকবেন না, সে বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেছেন, ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে এনিয়ে যখন সিদ্ধান্ত হবে, তখন প্রক্রিয়াও গঠন করা হবে।
রোববার সকালে সচিবালয়ে বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পাটজাত পণ্যে মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ এর বাস্তবায়ন সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, রাষ্ট্রপতির অপসারণ এটা অনেক বড় একটা সিদ্ধান্ত। তাই এটা নিয়ে তাড়াহুড়োর যেমন সুযোগ নেই, আবার বেশি দেরি করারও সুযোগ নাই।
রাষ্ট্রপতির অপসারণ বা পদত্যাগ যেটাই হোক না, তা নিয়ে যখন ঐকমত্য তৈরি হবে, তখন সিদ্ধান্তটাও ঐক্যমত্যের ভিত্তিতেই হবে। সংসদ নাই বা স্পিকার নাই সেই প্রশ্ন তখন থাকবে না।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করা হলে সংকট সৃষ্টি হবে বলে মনে করছে বিএনপি। কেউ কেউ মনে করছে এতে কোনো সংকট সৃষ্টি হবে না। তবে, রাষ্ট্রপতির অপসারণ বিষয়ে সরকারের অবস্থান হচ্ছে, এ বিষয়ে রাজনৈতিক ঐক্যমত্য সৃষ্টি করা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক ঐক্যমত্যের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে রাষ্ট্রপতি থাকবেন নাকি থাকবেন না। ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে এ বিষয়ে যখন সিদ্ধান্ত হবে, তখন প্রক্রিয়াও গঠন করা হবে।
উপদেষ্টা রিজওয়ানা বলেন, বিপ্লব পরবর্তী এই সরকারের আদলের সাথে বর্তমান রাষ্ট্রপতি যান না। কেননা তিনি ফ্যাসিস্ট সরকারের অংশ। তাই রাষ্ট্রপতি পদে থাকতে পারেন না। এ ইস্যুতে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান রিজওয়ানা।
দিনি আরও বলেন, এই রাষ্ট্রপতির কাছে শপথ নেওয়ায় কোনো সমস্যা হয়নি। তখন তাই প্রয়োজন ছিল। আর কেউ আলোচনারও সুযোগ পায়নি যে কার কাছে শপথ নেওয়া হবে। বিএনপি নেতাদের নিজেদের মধ্যেসহ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এই বিষয়ে ঐক্যমত্য তৈরির চেষ্টা হচ্ছে।
এছাড়া, উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, এখনও পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আলোচনা হয়নি। জনদাবি উঠতে পারে, কিন্তু এ নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত নেই।