কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীতে পুলিশের ওপর একদল দুর্বৃত্ত হামলা করেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুই পুলিশ নিখোঁজ রয়েছেন। আহত হয়েছেন এক পুলিশ ও ইউপি সদস্য। মৎস্য কর্মকর্তার দাবি, রাতে কোনো অভিযান ছিল না। আর পুলিশ বলছে, ওয়ারেন্টের আসামি ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে। তবে স্থানীয়দের ভাষ্য, ইলিশ শিকার বন্ধে অভিযানে গেলে তাদের ওপর হামলা করা হয়। কিন্তু মৎস্য কর্মকর্তার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠেছে, অভিযান না থাকলে, পুলিশ ভোরে নদীতে কী করতে গিয়েছিল?
সোমবার ভোরে জেলার কুমারখালী উপজেলার বেড় কালোয়া এলাকার পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজরা হলেন- এএসআই সদরুল আলম ও এএসআই মুকুল হোসেন। আহতরা হলেন- এসআই নজরুল ইসলাম ও কয়া ইউনিয়ন পরিষদের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ছানোয়ার হোসেন।
স্থানীয়রা জানান, ভোর চারটার দিকে একটি নৌকায় স্থানীয় দুই ইউপি সদস্য ছানোয়ার ও আনোয়ার কুমারখালী থানার ছয় জন পুলিশকে নিয়ে পদ্মা নদীতে যান। এ সময় মাছ নিধন করছিল জেলেরা। পুলিশের নৌকাটি জেলেদের দিকে এগিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা হামলা ও মারধর করে। এ সময় নৌকায় থাকা এএসআই সদরুল আলম ও এএসআই মুকুল হোসেন নদীতে ঝাঁপ দেয়। এরপর থেকেই তারা নিখোঁজ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা আরও জানান, বর্তমানে ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পদ্মা নদীতে প্রতিদিনই অবৈধভাবে মাছ শিকার করা হচ্ছে। পুলিশ হয়তো ওই মাছ ছিনিয়ে নিতেই নদীতে গিয়েছিল।
তারা জানান, পুলিশ অভিযানের নামে জেলেদের মাছ লুটে নেওয়ার চেষ্টা করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বেশ কয়েকটি নৌকায় থাকা ১৫ থেকে ২০ জন তাদের ওপর হামলা চালায়।
কুমারখালীর সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহমাদুল হাসান বলেন, রাতে মৎস্য অভিযান ছিল না। পদ্মায় পুলিশ কেন গেছে তা জানি না।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, ওয়ারেন্টের আসামি ধরতে গিয়ে পদ্মা নদীতে পুলিশ দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়েছে। নিখোঁজদের উদ্ধারে পুলিশের একাধিক দল ও ফায়ার সার্ভিস পদ্মায় তল্লাশি চালাচ্ছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।