ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুথানে ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতন হয়। তিন দিন পর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সেই সরকারে দুই জন ছাত্র প্রতিনিধি নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন।
আজ (রোববার) দুপুরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে সরকারের ১০০ দিনে আসিফ মাহমুদ তার দায়িত্বপ্রাপ্ত ক্রীড়া ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের (বর্তমানে স্থানীয় সরকার) বিভিন্ন কর্মকাণ্ড উপস্থাপন করেন এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
সংবাদ সম্মেলনে যুব ও ক্রীড়া সচিব জানান, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আওতায় কর্মপ্রত্যাশী যুবকদের সরকারি-বেসরকারি কর্মে নিয়োজিত করা এবং আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে দুই লাখ ৬৪ হাজার ৮০ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিগত ১০০ দিনে ১৯ হাজার ৪৫২ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এবং বর্তমানে ৫২ হাজার ১১৫ জন প্রশিক্ষণরত।
সরকারে দুই জন ছাত্র প্রতিনিধি থাকায় অনেক আলোচনা হয়েছে। ১০০ দিন দায়িত্ব পালন শেষে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলছেন, ‘তরুণ সমাজ যেমন বিপ্লব করতে পারে তেমনি গঠনমূলক কাজও করতে পারে। উপদেষ্টা পরিষদে থেকে এটা আমাদের চ্যালেঞ্জ ছিল। আমাদের মাধ্যমে তরুণ সমাজ সেই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করছে।’
বেসরকারি ও সরকারি খাতে তরুণদের প্রতিনিধিত্ব ও প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রাইভেট সেক্টরে তরুণরা অনেক সাফল্য দেখিয়েছে। সরকারি খাতে সেই হার কম। এখানে হায়ারআরকি (পদসোপান নীতি) ও নানা বিষয় রয়েছে। গভ সেক্টরেও তরুণদের আমরা তরুণদের আরো সুযোগ করে দিতে চাই।’ ১০০ দিন সাফল্য-ব্যর্থতা মূল্যায়নের জন্য যথেষ্ট নয়। এরপরও এই দিনগুলোর পথচলা ও মূল্যায়ন সম্পর্কে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন ফেডারেশনের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করছি। আমাদের জবাবদিহিতা জনগণের কাছে। কেমন কাজ করেছি, এটা জনগণ মূল্যায়ন করবে।’