রাত শেষে যেমন ভোরের আলো ফোটে, তেমনি দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় এসেছে বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ডের। আজ মহান বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা স্তম্ভে জড়ো হয়ে মোমবাতি প্রজ্বালন করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি ২০২৪-এ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদেরও স্মরণ করা হয়েছে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির বক্তারা বলেন, আমরা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণ করছি। তেমনিভাবে স্মরণ করছি ২০২৪-এ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদেরও। আমরা একাত্তরে বিজয় পেয়েছি পাকিস্তানের কবল থেকে আর চব্বিশে ভারতীয় আগ্রাসন থেকে আমাদের বিজয় এসেছে।
নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, একাত্তরের পাশাপাশি চব্বিশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় জাতীয় নাগরিক কমিটি। তিনি যোগ করেন, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান থাকলে ভারত শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের কাছে সোপর্দ করবে।
নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, বাংলাদেশকে নতুন করে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর মতো রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চাই। আমরা কোনো দেশের এক্সটেনশন হতে চাই না। বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশকে বলতে চাই– বাংলাদেশের প্রতি আপনাদের দৃষ্টি যেমন হবে, রক্ত দিয়ে হলেও আমরা সেই দৃষ্টিতেই আপনাদের দেখব।
বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে বক্তৃতা শেষে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের জন্য দোয়া ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।