যেকোনো সময় জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে কমিশন প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এসময় সিইসি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা যে ঘোষণা দিয়েছেন, সে অনুযায়ী আমরা প্রস্তুত। যখনই তিনি চান, আমাদের তরফ থেকে সম্পূর্ণ প্রস্তুত। জাতীয় নির্বাচনের ষোলোআনা প্রস্তুতি চলছে। এ মুহূর্তে স্থানীয় নির্বাচন করা নিয়ে কোনো চিন্তা আমাদের নেই।
এর আগে বিজয় দিবসের দিন জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় নির্বাচনের একটি সম্ভাব্য সময়সীমা তুলে ধরেন। তিনি জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে ২০২৫ সালের শেষ দিকে অথবা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে পারে।
সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে সিইসি বলেন, সীমানা পুনর্নির্ধারণ হবে ন্যায্যতার ভিত্তিতে। অতীতের সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে যদি কোনো অনিয়ম হয়, কোনো প্রার্থীকে জেতানোর জন্য বা কাউকে হারানোর জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কোনো সীমানা পুনর্নির্ধারণ হয়ে থাকে, সেটা কমিশন দেখবে।
বিদ্যমান ভোটার তালিকায় নির্বাচন হবে, নাকি নতুন ভোটার তালিকা করবেন -এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, দুই মাস পর ইসির হাতে একটি নতুন চূড়ান্ত ভোটার তালিকা আসবে। এরপর বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। সব ধরনের তথ্য যাচাই-বাছাই করা হবে।
তিনি বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম দিন থেকেই আমরা জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কাজ শুরু করেছি। যেসব প্রস্তুতির দরকার তার সবই আমাদের রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় নির্বাচনের যে সময় ইঙ্গিত করেছেন, সে অনুযায়ী নির্বাচন করতে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের যে ইনডিকেশন দিয়েছেন, সেটা জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তিনি স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে কোনো কিছু বলেননি। আমাদের যারা স্টেক হোল্ডার, রাজনৈতিক দল, তারাও সংসদ নির্বাচনের কথা বলেছেন। তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের থেকে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা বলেছেন। কাজেই আমরা আপাতত সংসদ নির্বাচনের কথাই ভাবছি।