গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা মাঠে মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সাদ কান্ধলভী অনুসারীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনার হত্যা মামলায় মুয়াজ বিন নূরকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ভোরে ঢাকার উত্তরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মুয়াজ বিন নূর ঢাকা উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের নূর মোহাম্মদের ছেলে। তিনি সাদপন্থিদের মূখপাত্র হিসেবে পরিচিত ও জুবায়েরপন্থিদের দায়ের করা হত্যা মামলার ৫ নম্বর আসামি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মাওলানা জুবায়েরের অনুসারী এস. এম. আলম হোসেন বাদী হয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা করেন। এতে ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।
এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সাদ কান্ধলভী অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে চারজনের মুসল্লির মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানায়, টঙ্গী ইজতেমা মাঠে চার খুনের ঘটনায় মামলা হয়। এই মামলার ৫ নম্বর আসামি মুয়াজ বিন নূরকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার উত্তরায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- ঢাকার ধানমন্ডি থানার আবাসিক এলাকার প্রয়াত রিফকুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, খুলনার বাটিয়াঘাটা উপজেলার বড় কড়িয়া গ্রামের মনসুর রহমানের ছেলে আব্দুল্লাহ মনসুর, ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামের ছেলে ওসামা ইসলাম আনু, একই এলাকার ড. কাজী এরতেজা হাসান, উত্তরা এলাকার প্রয়াত নূর মোহাম্মদের ছেলে মোয়াজ বিন নূর, সাভার থানা এলাকার জিয়া বিন কাশেম, তুরাগ থানা (বেলাল মসজিদ) এলাকার আজিমুদ্দিন, সাভার থানার সৈয়দ আনোয়ার আব্দুল্লাহ, মুগদা থানা (বড় মসজিদ) এলাকার শফিউল্লাহ, কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজরা এলাকার প্রয়াত মাওলানা মোজাম্মেলুল হকের ছেলে আনাস, মোহাম্মদপুর থানা এলাকার আব্দুল্লাহ শাকিল, রমনা থানার কাকরাইল এলাকার রেজা আরিফ, উত্তরা পশ্চিম থানার (সেক্টর-৯) আব্দুল হান্নান, একই থানার (সেক্টর-১১) রেজাউল করিম তরফদার, তুরাগ থানার (বেলাল মসজিদ) এলাকার মুনির বিন ইউসুফ, ঢাকার সায়েম, হাজী বশির সিকদার, কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার চন্দনপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে মনির হোসেন, মীরপুর থানা এলাকার প্রকৌশলী মুহিবুল্লাহ, ঢাকার পল্লবী থানা এলাকার আজিজুল হকের ছেলে আতাউর রহমান, এলিফ্যান্ট এলাকার তানভীর, তুরাগ থানার ভাটুলিয়া এলাকার প্রয়াত ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে বাবুল হোসেন, একই থানা এলাকার প্রকৌশলী আবুল বশর, প্রকৌশলী রেজনুর রহমান, উত্তরা থানার (সেক্টর ১০) প্রয়াত ফজলুল হক সিকদারের ছেলে নাসির উদ্দিন সিকদার, ড. আব্দুস সালাম, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ওয়াসি উদ্দিন, রাজধানীর মীরপুর থানা এলাকার মিজান, তুরাগ থানার (বেলাল মসজিদ) এলাকার শাহাদাতসহ কয়েক শ জনকে আসামি করা হয়।