নীতিগতভাবে রোহিঙ্গা ঢুকতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত থাকলেও গত দুই মাসে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান উপদেষ্টা। এসময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী দেশ লাওস, থাইল্যান্ড, ভারত ও চীনের সাথে ব্যাংককে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক নিয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, সীমান্তে অনেক অসাধু লোক আছে, তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় দিয়ে এই রোহিঙ্গারা ঢুকেছে।
‘মিয়ানমারকে সব পক্ষের সাথে আলোচনা করে তার ভেতরের সমস্যা সমাধান করতে বলেছে সব দেশ। মিয়ানমারের আর আগের অবস্থায় ফিরে যাবার কোনো সম্ভবনা দেখছে না পার্শ্ববর্তী দেশগুলো। বাংলাদেশের সীমান্ত এখন যাদের দখলে তাদের সাথে ফরমালি আলোচনায় বসা সম্ভব হচ্ছে না।’
রোহিঙ্গা পরিস্থিতি পুরো অঞ্চলে কীভাবে অশনিসংকেত সৃষ্টি করছে, তা জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, এখন বয়স্ক যেসব রোহিঙ্গা আছেন, তারা হয়তো পরিস্থিতি মেনে নেবেন। তবে আগামী ৫ বছর পর যেসব তরুণ রোহিঙ্গার বয়স ২০ বছর হবে, তারা বেপরোয়া হয়ে উঠবেন। তখন আমাদের সমস্যা বেশি হবে ঠিকই, তবে সেই সমস্যা প্রত্যেকেরই হবে। এর মধ্যেই নৌকায় রোহিঙ্গারা অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।
থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিস সাঙ্গিয়াম্পংসার সভাপতিত্বে গত বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ব্যাংককে ছয় দেশের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মিয়ানমারের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সোয়ে।