শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনই সত্যি হলো। দ্বিতীয়বার বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন সাকিব আল হাসান। আর এ জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক বছরের জন্য বোলিং নিষেধাজ্ঞায় পড়তে যাচ্ছেন তিনি। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড নিশ্চিত করেছে, পরবর্তী বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে উঠে যাবে নিষেধাজ্ঞা।
ইংল্যান্ডে প্রথম পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার পর সাকিব আল হাসান ভারতের চেন্নাইয়ে দেয়া দ্বিতীয় পরীক্ষাতেও সফল হতে পারেননি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ওপর ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) অধীন প্রতিযোগিতায় বোলিং করার নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। গত মাসে ভারতের চেন্নাইয়ে শ্রী রামচন্দ্র স্পোর্টস সায়েন্স সেন্টারে পুনর্মূল্যায়নের পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
গত বছর সারের হয়ে কাউন্টি খেলতে গিয়ে সাকিবের বোলিং অ্যাকশন সন্দেহজনক হিসেবে রিপোর্ট করা হয়েছিলো। এরপর দুই মাস পর জানা যায়, সাকিব লাফবারো বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে প্রথম পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হতে পারেননি।
এদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সাকিবের দ্বিতীয় পরীক্ষার ফলের জন্য অপেক্ষায় ছিলো, বিশেষ করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে তার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে। কারণ ১২ জানুয়ারির মধ্যে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল ঘোষণা করতে হবে।
বর্তমানে, সাকিব শুধু বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে বোলিং করতে পারবেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে না। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যাটার হিসেবে খেলার সুযোগ পাবেন তিনি।
ক্রিকেট অপারেশন্স ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফীস গত বুধবার বলেছিলেন, ফল ৫ জানুয়ারিতে আসার কথা ছিলো, তবে নতুন বছর ও বড়দিনের ছুটির কারণে কিছুটা দেরি হয়েছে।