গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকারীরা আবার ক্ষমতায় আসুক, দেশের অধিকাংশ জনগণ তা চায় না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার।
তিনি বলেন, গণহত্যাকারীরা যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সেই সুপারিশ করেছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। পাশাপাশি বিগত তিনটি নির্বাচন দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ তিন নির্বাচন কমিশনকে বিচারের আওতায় আনতে তদন্ত কমিশন গঠনেরও সুপারিশের কথা জানান তিনি।
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন ভবনের মিডিয়ার সেন্টারে আরএফইডি টক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন বদিউল আলম মজুমদার। এ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে রিপোর্টাস ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি)।
এর আগে গেলো জুলাই-আগস্ট মাসের আন্দোলনে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে প্রায় দেড় হাজারের বেশি মানুষকে। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার। এছাড়াও বিগত ১৬ বছরে গুম, খুনসহ একাধিক বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসব অভিযোগ তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে ঘিরে। আগামী নির্বাচনে তারা অংশ নিতে পারবে কিনা, এই প্রশ্ন এখন সব মহলে।
এ বিষয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বলছেন, জুলাই গণহত্যার সাথে জড়িতরা নির্বাচনে বা আবার ক্ষমতায় আসুক, তা চায় না দেশের সাধারণ মানুষ।
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, কাউকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা চাই যে অন্যায় করেছে তাদের বিচারের আওতায় আনা।
এসময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটি তদন্ত কমিশন গঠন করার মাধ্যমে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে কারচুপিতে সহায়তাকারীদের বিচার করা হোক। তখনকার কমিশন অন্যায় করলে তাদেরও বিচার হবে। কেউ চায় না অতীতের জায়গায় ফিরে যাক। অতীতের কারচুপি এবারের নির্বাচনে পুনরাবৃত্তি চাই না।
এদিকে নির্দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর বিদেশি শাখা বন্ধসহ দলগুলোর অভ্যন্তরে গণতন্ত্র সুসংহত করাসহ নানা ধরনের সুপারিশের কথাও জানান বদিউল আলম।
একইসঙ্গে প্রার্থীরা যাতে ভোটের প্রচারণায় কোনো পোস্টার ব্যবহার করতে না পারে এবং রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে যেন সকল প্রার্থীকে সমান সুযোগ দেয়, সেই বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।