শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কটা খুব একটা স্বাভাবিক নেই। সংখ্যালঘু ইস্যু নিয়ে বারবার উদ্বেগ জানিয়ে আসছে নয়াদিল্লি। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া ইস্যুটি যে অতিরঞ্জিত, তা জানিয়ে আসছে ঢাকা। সম্প্রতি সীমান্তে বিএসএপের কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার চেষ্টায় বাধা দেয় বাংলাদেশের বিজিবি। বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা যখন চরমে, তখন চাঁপাইনবাবগঞ্জের কিরণগঞ্জ সীমান্তে সংঘর্ষে জড়ায় দুই দেশের বাসিন্দারা।
এর কয়েক দিন পরই নতুন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনায় উঠে আসে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে প্রথম বৈঠকে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে এই আলোচনা করেন এস জয়শঙ্কর। এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেই এই তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নতুন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে নিজের প্রথম বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর স্থানীয় সময় বুধবার ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে জয়শঙ্কর বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে চাননি তিনি।
ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার আলোচনার বিষয়ে ওয়াশিংটনে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন : ‘আমরা বাংলাদেশ নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছি। এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত কথা বলা ঠিক হবে না।’
এদিকে, হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে ভারতের ওপর মার্কিন শুল্ক আরোপের বিষয়ে নয়াদিল্লির কর্মকর্তাদের মাঝে উদ্বেগ বাড়ছে। মার্কিন পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক রয়েছে এমন দেশগুলোর তালিকায় ভারতের নাম যুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ডোনাল্ড ট্রাম্প গেল সোমবার শপথ নেওয়ার পর সেসব দেশের বিরুদ্ধে পাল্টা উচ্চ শুল্ক চাপিয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
শুধু তাই নয়, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেওয়ার পরপরই দেশটিতে অবৈধভাবে বসবাসকারী প্রায় ১৮ হাজার ভারতীয় অভিবাসীকে ফেরত নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ভারত। অবৈধ এসব অভিবাসীদের ফিরিয়ে এনে দিল্লি ট্রাম্প প্রশাসনকে একটা বার্তা দিচ্ছে—ওয়াশিংটন যেন ভারতের ওপর কোনো বাণিজ্যিক বিধি-নিষেধ আরোপ না করে।












The Custom Facebook Feed plugin