রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় কোনো হামলা হয়নি; বরং, ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এমন দাবি করলেন উত্তরা জোনের ডিসি রওনক জাহান।
সন্ধ্যায় উত্তরা-১১ নম্বর সেক্টরের কয়েকজন ছাত্রকে আটক করা হলে ওই থানায় হামলা করে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা।
এর প্রেক্ষিতে ডিসি বলেন, ছাত্রদের এক গ্রুপ অন্য গ্রুপের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যায় পুলিশ। সেখানে ভুল বোঝাবুঝি হলে অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হয়। মূলত পুলিশের অপেশাদার আচরণের কারণে থানার সামনে জড়ো হয় ছাত্ররা। তারা কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়ে থানায় প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। ছাত্রদের সাথে আলোচনায় পুলিশের অপেশাদার আচরণের প্রমাণ পাওয়ায় এসআই আবু সাইদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানান ডিসি উত্তরা।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের গাউসুল আজম অ্যাভিনিউ সড়কে উত্তরা পশ্চিম থানা কমিটি গঠনের লক্ষ্যে একটি মিটিংয়ের আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। মিটিং থেকে আকাশ, রবিন ও বাপ্পি নামের তিন ছাত্রকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
উত্তরা পশ্চিম থানায় হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের সহপাঠী আকাশ, রবিন ও বাপ্পিকে পুলিশ আটক করে উত্তরা পূর্ব থানায় নিয়ে যায়। পূর্ব থানায় আমরা গিয়ে জানতে পারি, তিন ছাত্রকে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ আটক করে উত্তরা পূর্ব থানা-পুলিশের হেফাজতে রেখেছে। এতে উত্তেজিত ছাত্ররা উত্তরা পশ্চিম থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেছে। সেই সঙ্গে থানার গেটে হামলা চালিয়েছে।
অপরদিকে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ ও পুলিশের গোয়েন্দার একাধিক সূত্র থানা ও পুলিশের ওপর হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উত্তরা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) রওনক জাহান বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
ছাত্র প্রতিনিধিরা জানান, সঠিক তদন্ত না করেই আটকের ঘটনায় থানায় জড়ো হয়েছিলেন তারা। পরে ডিসির সাথে আলোচনায় মিমাংসা হলে ছেড়ে দেয়া হয় ছাত্রদের। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ডিসি উত্তরা।