সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় নতুন দিন আগামী ১৫ এপ্রিল ধার্য করেছে আদালত। এ নিয়ে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ১১৬ বার পেছানো হলো।
রোববার (২ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এমএ আজহারুল ইসলামের আদালত এ দিন ধার্য করেন।
গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। গঠিত টাস্কফোর্সকে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশও দেওয়া হয়।
ওই দিন রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানিকালে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, ১২ বছরেও সাংবাদিক দম্পতি হত্যা মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া শুধু তার পরিবারের জন্য না, সমগ্র জাতির জন্য দুঃখজনক। বিচার বিভাগের জন্যও এটা কষ্টের কারণ। আশা করি এবার ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে এবং তদন্তের জন্য দেওয়া এবারের ছয় মাস, মানে ছয় মাস।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর ও রুনি। ঘটনার সময় বাসায় ছিল তাদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ।
১২ বছরেও সাংবাদিক দম্পতি হত্যা মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া শুধু তার পরিবারের জন্য না, সমগ্র জাতির জন্য দুঃখজনক। বিচার বিভাগের জন্যও এটা কষ্টের কারণ। আশা করি এবার ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে এবং তদন্তের জন্য দেওয়া এবারের ছয় মাস, মানে ছয় মাস।
সাগর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙা আর রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন রুনির ভাই নওশের আলম।
মামলার আসামিরা হলেন- রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মাসুম মিন্টু, কামরুল ইসলাম ওরফে অরুন, আবু সাঈদ, সাগর-রুনির বাড়ির ২ নিরাপত্তারক্ষী পলাশ রুদ্র পাল ও এনায়েত আহমেদ এবং তাদের ‘বন্ধু’ তানভীর রহমান খান। এদের মধ্যে তানভীর ও পলাশ জামিনে রয়েছে। বাকিরা কারাগারে আটক রয়েছেন।