দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা অর্থপাচার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের সাজা বাতিল করে খালাস দিয়েছে আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি করে দুদক। অভিযোগে বলা হয়, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেয়ার জন্য নির্মাণ কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা নেন। সিঙ্গাপুরে লেনদেন হয়।
এ টাকার মধ্যে তারেক রহমান ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে তিন কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। মামলায় ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দিয়ে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অর্থপাচার মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত।
পরে দুদকের করা আপিলের শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ২১ জুলাই তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয় হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। একই মামলায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সাত বছরের কারাদণ্ডের সাজা বহাল রাখে হাইকোর্ট। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন গিয়াসউদ্দিন আল মামুন।
আপিল শুনানি শেষে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের সাজা বাতিল করে দেয়। হাইকোর্টের সাজা বাতিলের ফলে একই মামলায় তারেক রহমানের সাজাও বাতিল হয়ে যায়।
গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও তারেক রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ জাকির হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।












The Custom Facebook Feed plugin