উদ্দেশ্যপ্রণিতভাবে তুচ্ছ ঘটনা কে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থীর পরিচয়ে ছাত্রাবাসের তালা ভেঙে জিনিসপত্র লুট ও দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস প্রতিনিধি এবং প্রবাস টাইমস এর প্রতিনিধির গায়ে হাত দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, গতকাল (১৪ মার্চ ) আনুমানিক রাত ১০ টার পর অজানা নাম্বার থেকে কল দিয়ে প্রথমেই ছাত্রাবাসে আসতে বলা হয়। আসার পর দেখা যায় ২০৯ নম্বর রুমের জিনিসপত্র বাইরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তারপর ২০৯ নম্বর রুমের সদস্যরা কারণ জানতে চাইলে, বাক বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে রুহুল আমিন এবং নাম না জানা কয়েকজন মিলে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে।
ভুক্তভোগী “দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস প্রতিনিধি” আব্দুল্লাহ খান জানান, আমি কবি নজরুলের দর্শন বিভাগের ছাত্র এবং ” দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস ” এর ক্যাম্পাস প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করি।
গতকাল রাতে আনুমানিক দশটার পর আমার রুমমেট রনি মিয়াকে অজানা নম্বর থেকে কল দিয়ে ছাত্রাবাসে আমাদের রুমের সামনে আসতে বলা হয়। এসেই দেখি আমাদের জিনিসপত্র সব বাহিরে ফেলে দেওয়া হয়েছে এবং আমাদের রুমে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে।
আমি ছাত্রাবাসে নিয়ম অনুযায়ী আমার সব ডকুমেন্টস জমা দিয়ে এবং কলেজ প্রশাসনের অনুমতিক্রমে সাধারণ শিক্ষার্থীর পরিচয় অবস্থান করছি। কোনো সংগঠন বা ব্যক্তি পরিচয়ে অবস্থান করছি না। আমি আমার যদি কোন অপরাধ থাকে তবে কলেজ প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে । এখানে যারা আমার রুমে তালা ভেঙে জিনিসপত্র বাইরে ফেলে দিয়েছে, এবং আমার রুম থেকে আমার একটা অ্যাকশন ক্যামেরা ও রুমের আরেকজন রনি মিয়ার টেবিলের ড্রয়ার থেকে প্রায় ত্রিশ হাজার টাকা লুটপাট করেছে। আমি প্রশাসনের কাছে তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
ভুক্তভোগী প্রবাস টাইমস এর রিপোর্টার রনি মিয়া বলেন, যারা এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে, তারা সাধারণ শিক্ষার্থীর পরিচয় দিয়ে উদ্দেশ্য প্রণীতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। কিছুদিন থেকেই হলের গ্রুপ গুলোতে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা রকম উস্কানি মূলক পোস্ট দিয়ে আসছিল।
এই ঘটনার যার নেতৃত্ব দিয়েছে এর মধ্যে রুহুল আমিন, মুজাহিদ, আলভী ছাড়াও কয়েকজনের কাছে জানতে চাইলে, তারা আমাদেরকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে এবং নানা রকম হুমকি প্রদান করে।
যদি আমাদের কোন ভুল থাকে তবে সেটা কলেজ প্রশাসন দেখবে, উনারা তো হল থেকে বের করে দেওয়ার ইখতিয়ার রাখে না।
এই বিষয়ে কবি নজরুল কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে। যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব। সাধারণ শিক্ষার্থীর পরিচয়ে কেহ হলের দায়িত্ব নিতে পারে না । ছাত্রাবাসে কে থাকবে না থাকবে, সেটা কলেজ প্রশাসন দেখবে। ছাত্রাবাসে অবস্থানরত কোন শিক্ষার্থী আরেক শিক্ষার্থীকে বের করে দিতে পারে না। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।