সাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হচ্ছে, যা পরে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে পূর্বভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে এটির গতিপথ কোন দিকে থাকবে, তা এখনই বলা সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছেন তারা।
আর, বৃষ্টির পরিমাণ কম থাকায় সহসাই তাপমাত্রা কমছে না। গত বছরের মত এবারও তীব্র থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বইতে পারে দেশের বিভিন্ন জেলায়।
হঠাৎ করেই বিভিন্ন জেলায় বেড়েছে তাপের প্রখরতা। বিভিন্ন জেলায় পারদ উঠেছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে। শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো খুলনার মংলায় ৩৬ দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সূর্যের এই প্রখরতা থেকে বাঁচাতে গাছের ছায়াই ভরসা নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের। শীতল ছায়ায় ক্লান্তি দূর করতে ঘুমিয়েও নিচ্ছেন অনেকেই।
আবহাওয়া অফিস বলছে, শনিবার তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে চলতি মাসে দেশজুড়ে দুই থেকে চারটি মৃদু ও মাঝারি তাপপ্রবাহ বইতে পারে। বৃষ্টির পরিমাণ গত বছরের চেয়েও এই বছর বৃষ্টি কিছুটা কম হয়েছে। তাই সহসা তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছের আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়াবিদ তরিকুল নেওয়াজ কবির জানিয়েছেন, গত কয়েক বছর ধরেই প্রাক বর্ষায় বৃষ্টি কম হচ্ছে। আবার বর্ষার শেষ দিকে বৃষ্টি বেড়ে যাচ্ছে। আবহাওয়ার এই পরিবর্তন অনেকটাই শঙ্কার।
তিনি আরও জানান, এরই মধ্যে আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হচ্ছে। সেটি নিম্নচাপে রূপ নিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে সেটির গতিপথ সম্পর্কে জানা যাবে।
তবে এই আবহাওয়াবিদ নিশ্চিত করেছেন, চলতি মাসের ১০ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হবার কোন সম্ভাবনা নেই। ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলেও সেটি এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহ বা শেষ দিকে হতে পারে।












The Custom Facebook Feed plugin