অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের আল্টিমেটাম দিয়ে আন্দোলন আপাতত স্থগিত করেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। সরকারের পদক্ষেপ দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেলে কাকরাইল মোড়ে আন্দোলনস্থলে এসে তিনি এ ঘোষণা করেন।
ইশরাক হোসেন বলেন, আটদিন নিরলস পরিশ্রম করে ঝড়বৃষ্টিতে আন্দোলন করে আমাকে এই পর্যায়ে নিয়ে আসায় দেশনায়ক (বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) তারেক রহমান আপনাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন, কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। আমি ইশরাক আপনাদের কাছে আজীবন ঋণী থাকবো।
ইশরাককে শপথ না পড়ানোর জন্য দায়ের হওয়া রিট হাইকোর্টে খারিজ হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আপনারা জানেন হাইকোর্টে রিট দিয়ে আমাকে মেয়র পদে শপথ গ্রহণে বাধা দেয়ার অপচেষ্টা করা হয়েছে। সবশেষে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আশা করবো, কালক্ষেপণ না করে দ্রুত শপথের আয়োজন করবেন। যদি আবারও টালবাহানা করেন বা কালক্ষেপণ করেন, তাহলে আগামীকালই আবার আন্দোলনে যাবো।
আন্দোলনের কারণে যানজট ও নগরবাসীর ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলনের কারণে রাস্তাঘাটে রাজধানীবাসীর অনেক ভোগান্তি হয়েছে, নগর ভবনের সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন নাগরিকরা। তাই আমি ও তারেক রহমান ঢাকাবাসীর কাছে আন্তরিক ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
ইশরাক বলেন, শুরুতে আমাদের পরিকল্পনা ছিলো না আন্দোলনে যাওয়ার। কিন্তু সরকার বাধ্য করেছে। বর্তমান সরকারে যে দুইজন উপদেষ্টা রয়েছেন, যারা নতুন দলের প্রতিনিধিত্ব করেন, তাদের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। যেহেতু বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক, নিয়মতান্ত্রিক ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তাই আমাদের দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে আপাতত আন্দোলন সাময়িক বন্ধ থাকবে। ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করবো। সরকার কী করবে? পরবর্তীতে তাদের কর্মকাণ্ডের ওপর ভিত্তি করে নির্দেশনা দেয়া হবে। কিন্তু দুই উপদেষ্টার পদত্যাগের আন্দোলন চলবে।


















