জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, ১৪ বছর পর আজ সকালে আমি কারাগার থেকে মুক্তি হলাম। আমি আজ স্বাধীন, আমি এখন মুক্ত, আমি এখন স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক।
মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড পাওয়া জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম বুধবার (২৮ মে) সকালে পিজি হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে বের হয়ে আসেন। মুক্তি পাওয়ার পরেই তিনি যোগ দেন শাহবাগের সমাবেশে।
এদিন সকাল থেকেই পিজি হাসপাতালে ভিড় করেন বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে আসেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
এছাড়া আগে থেকেই এখানে অপেক্ষায় ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আবদুল হালিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নেতা ডা. আবদুল মান্নান, ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দামসহ অন্যান্যরা।
মুক্তি পেয়েই অন্য নেতাদের সঙ্গে শাহবাগের সমাবেশে যোগ দেন তিনি।
তখন, উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা জানেন আগের সরকারের সময় কীভাবে আমাদের ভাইকে হত্যা করে দুনিয়া থেকে বিদায় করা হয়েছে। ধন্যবাদ জানাই ৩৬ জুলাইয়ের মহানায়কদের। যাদের আন্দোলনের অক্লান্ত পরিশ্রমের স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন হয়েছে।
আজহার বলেন, সাধুবাদ বা ধন্যবাদ জানাই ছাত্র সমাজকে। যারা দীর্ঘ ১৫ বছরের ফ্যাসিস্ট এবং জুলুমবাজ সরকার থেকে নতুন একটা বাংলাদেশ উপহার দিয়েছে।
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের সাথে যারাই জড়িত প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আনতে হবে। আমার অপরাধ ছিলো আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২৭ মে) সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে এটিএম আজহারকে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস দেন আপিল বিভাগ। সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের সর্বসম্মতিক্রমে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
রাতেই রায়ের অনুলিপি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পিজি হাসপাতালে পাঠানো হয়।












The Custom Facebook Feed plugin