ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার এবং দেশের সংস্কার ও শান্তিপূর্ণ রূপান্তর প্রচেষ্টার প্রতি জাপানের পূর্ণ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইশিবা।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর দুদেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। এর আওতায় ঢাকাকে বাজেট সহায়তা, রেলপথের উন্নয়ন এবং অনুদান হিসেবে ১ দশমিক ০৬ বিলিয়ন ডলার দেবে টোকিও।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (৩০ মে) সকালে টোকিওতে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ইশিবা এ সমর্থনের আশ্বাস দেন।
পরে এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী ইশিবা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের রাষ্ট্রগঠনের উদ্যোগ, সংস্কার প্রচেষ্টা ও শান্তিপূর্ণ রূপান্তরের অঙ্গীকারের প্রতি জাপানের পূর্ণ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি উন্মুক্ত ও শান্তিপূর্ণ ইন্দো-প্যাসিফিকে বাংলাদেশের সমর্থন জানানো হয়।
যৌথ সংবাদ বিবৃতিতে জানানো হয়, রোহিঙ্গাদের টেকসই-নিরাপদ প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান।
এর আগে সকালে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৌঁছালে তাকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়।
উভয় দেশের মধ্যে চলমান সহযোগিতার সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেয়ার বিষয়টি বৈঠকে গুরুত্ব পায় বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
অন্যদিকে যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সবার সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে বাংলাদেশ ও জাপানের দৃষ্টিভঙ্গি এক এবং এজন্য উভয়ে কাজ করবে।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইশিবা শিগেরুর মধ্যে টোকিওতে বৈঠকে ইন্দো-প্যাসিফিক, অর্থনৈতিক সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা, রোহিঙ্গা, মানবসম্পদ উন্নয়নসহ বিভিন্ন সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারত্বের প্রতি প্রতিশ্রুতি ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জাপানের পূর্ণ সমর্থন করা হয়েছে বৈঠকে।
সামনের দিনগুলোতে সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে দুইদেশ।
প্রধানমন্ত্রী ইশিবা জাতি গঠনের প্রচেষ্টা, সংস্কার উদ্যোগ এবং বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ উত্তরণের প্রচেষ্টার জন্য অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জাপানের পূর্ণ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।


















