রবিবার , ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

তিন বছর পর বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক সংলাপ

প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২২ ১:১১ অপরাহ্ণ

সব ঠিক থাকলে আগামী মার্চেই বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে রাজনৈতিক সংলাপ (পার্টনারশিপ ডায়ালগ) হবে ঢাকায়। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের আন্ডার সেক্রেটারি (রাজনৈতিক) ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড ওই সংলাপে অংশ নিতে মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে ঢাকায় আসবেন। মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসও ঢাকায় পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সেই অর্থে পিটার হাসের প্রথম অ্যাসাইনমেন্টই হবে দুই পক্ষের জন্য মঙ্গলকর একটি রাজনৈতিক সংলাপের চেষ্টা করা।

বিশ্লেষকদের মতে, ওই আলাপে কোভিডসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে দুই দেশের যে পার্থক্য, সেসব নিয়ে আলোচনার সুযোগ তৈরি হবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষে সাতটি পার্টনারশিপ ডায়ালগে নেতৃত্বদানকারী সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক বলেন, ‘এটি দুই দেশের আনুষ্ঠানিক আলোচনার সর্বোচ্চ প্ল্যাটফর্ম। এখানে গুরুত্বপূর্ণ, বিতর্কিত, অবিতর্কিত—সব বিষয় নিয়েই খোলামেলা আলোচনা হয়।’

২০১৯ সালের জুনে সর্বশেষ রাজনৈতিক সংলাপে নেতৃত্বদানকারী শহীদুল হক বলেন, ‘এ ধরনের আলোচনায় দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নের পাশাপাশি নীতি প্রণয়ন করা হয়। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে উভয় দেশের অবস্থান পরিষ্কার করা হয়।’

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির বলেন, ‘কিছু সহযোগিতার বিষয় থাকবে। আবার কিছু বিষয়কে দুই পক্ষ জাতীয় স্বার্থ, সংস্কৃতি অথবা অন্য কারণে ভিন্নভাবে পর্যালোচনা করে। এ ধরনের সবকিছু নিয়ে পররাষ্ট্র সচিব আলোচনা করতে পারেন।’

আসন্ন সংলাপে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বাংলাদেশ কী চোখে দেখে সেটা সরাসরি বলার একটি সুযোগ তৈরি হবে বলেও মনে করেন সাবেক ওই রাষ্ট্রদূত।

আলোচনার বিষয়

সংলাপে কী নিয়ে আলোচনা হবে সেটি নির্ধারণে কাজ করছে উভয় দেশ। যেহেতু সংলাপটি বাংলাদেশে হবে, সে কারণে এজেন্ডা নির্ধারণ করবে ঢাকা। প্রথাগত বিষয়গুলোর পাশাপাশি গত তিন বছরে যে পরিবর্তন এসেছে সেগুলো নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

গত তিন বছরে সবচেয়ে বড় পরিবর্তনের মধ্যে আছে—যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় ডেমোক্র্যাট সরকার, কোভিড মহামারি ও সর্বশেষ মার্কিন নিষেধাজ্ঞা।

২০১৯ সালের সংলাপের এজেন্ডায় ছিল নিরাপত্তা সহযোগিতা, ইন্দো-প্যাসিফিক, সুশাসন, রোহিঙ্গা সমস্যা এবং অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন সহযোগিতা।

নিরাপত্তা সহযোগিতা

সন্ত্রাসবাদ দমন, সাইবার নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে দুই পক্ষের আলোচনা প্রথম সংলাপ থেকেই ছিল। শেষ সংলাপে জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন এগ্রিমেন্ট (জিসমিয়া) সইয়ের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা অব্যাহত রাখার অনুরোধ করলে বাংলাদেশ রাজি হয়।

এ বিষয়ে একজন কূটনীতিক বলেন, অন্যান্য দেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও নিরাপত্তা সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা চলবে।

র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আলোচনা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই সুযোগ আছে।

উল্লেখ্য, গত ছয় বছরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশ প্রায় ৬৫০ কোটি (প্রায় সাড়ে ৭ কোটি ডলার) টাকার সামরিক অনুদান পেয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে ফরেন মিলিটারি ফাইন্যান্সিং এবং আন্তর্জাতিক মিলিটারি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ। ওই টাকার একটি বড় অংশ বঙ্গোপসাগরে মার্কিন যে উদ্যোগ রয়েছে সেটা শক্তিশালী করতেও বাংলাদেশকে দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক