নেতৃদ্বয় বলেন, একজন সাংবাদিক সকাল ৮টায় বাসা থেকে বের হয়ে রাত ১১টায় বাসায় ফেরেন। অনেক প্রতিষ্ঠানে বলা হয় সাংবাদিকদের ৮ ঘণ্টা বলতে কোনো ডিউটি নেই। সাংবাদিকদের ডিউটি সারাদিন। সাংবাদিকরা কি শ্রম আইনেও পড়ে না। তাহলে কেন সাংবাদিকদেরকে এভাবে খাটানো হচ্ছে।
সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সপ্তাহে ২ দিন ছুটি ভোগ করে, অনেক বেসরকারী প্রতিষ্ঠানেও ২ দিন ছুটির ব্যবস্থা চালু রয়েছে। সাংবাদিকদের কাজের কোনো নির্দিস্ট সময়সীমা নেই। সপ্তাহে নির্দিষ্ট দিন সাপ্তাহিক ছুটিও পান না। এতে তাদের ওপর শারীরিক ও মানসিক চাপ বাড়ছে। অবিলম্বে সাংবাদিকদের সপ্তাহিক ছুটি ২ দিন নির্ধারণ করার দাবী জানান নেতৃবৃন্দ। এছাড়া সাংবাদিকদের চাইলেই চাকরিচ্যুত করা যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। তাই নির্দিষ্ট কারণ এবং ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী সব ধরণের সুবিধাদি প্রদান ছাড়া কোনভাবেই সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুতি করা যাবে না।
এদিকে ১ জুলাই ২০২৫ থেকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মূল বেতনের ১০ শতাংশ বেতন কার্যকরভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি তাদের বার্ষিক ইনক্রিমেন্টের ৫ শতাংশের সঙ্গে আরও ৫ শতাংশ অতিরিক্ত বৃদ্ধি। এর পাশাপাশি, সরকারি চাকরিজীবীদের বিশেষ সুবিধা বা ভাতা (বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যম গ্রেডের জন্য) ১ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫০০ টাকা করা হয়েছে, এবং পেনশনভোগীদের জন্য এটি ৫০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৭৫০ টাকা হয়েছে। একই সঙ্গে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বেতন বৃদ্ধির জন্য সাবেক অর্থ সচিব জাকির আহমেদ খানকে সভাপতি করে ২৩ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় বেতন কমিশন ২০২৫ গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। অথচ সাংবাদিকদের জন্য নবম ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়ন ও দশম ওয়েজ বোর্ড গঠন দীর্ঘদিন থেকে ঝুলে আছে।


















