ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিনে ক্যাম্পাসে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করা হবে সেনাবাহিনী।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ডাকসু নির্বাচনের চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ভোটের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল সাতটি প্রবেশ পথে আর্মি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে। ভোট শেষ হওয়ার পর ভোটের রেজাল্ট হওয়া পর্যন্ত আর্মি কেন্দ্রগুলো ঘিরে রাখবে, যাতে বাইরের কেউ না আসতে পারে।
ভোটের দিন মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন বন্ধ থাকবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ভোটের সাতদিন আগ থেকে হলগুলোয় কোনো বহিরাগত অবস্থান করতে পারবেন না।
আজ ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন প্রচারণার আচরণবিধি নিয়ে ভিপি, জিএস, এজিএস প্রার্থীদের সাথে বৈঠক করেন ডাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা। এসময় তারা বলেন, ৯ তারিখ সীল গালা থাকবে ক্যাম্পাসের সব এন্ট্রি, শুধু মাত্র পর্যবেক্ষক কার্ডবাহী এবং বৈধ ভোটাররাই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। প্রচারণায় ৭১ এবং ২৪’কে হেয় করা হলে নেয়া হবে আচরণবিধি ভঙ্গের পদক্ষেপ।
ফলাফল ঘোষণা নিয়ে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, কেন্দ্রে যারা দায়িত্বে থাকবেন তারাই প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণা করবেন। পরবর্তীতে সব কেন্দ্রের ফলাফল হাতে আসলে তার ঘোষণা দেবে নির্বাচন কমিশন।
বৈঠক শেষে ছাত্রদল জানায়, বর্তমান প্রেক্ষাপটে ৪০ হাজার ভোট মাত্র আটটি কেন্দ্রে কাস্টিং সম্ভব নয়, ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটারদের ভোগান্তিতে পড়তে হবে, তাই কেন্দ্র বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি।
এদিকে ব্যানার পোস্টার নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো স্পষ্ট অবস্থান নেই বলে অভিযোগ করেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীসংসদের আবু বাকের মজুমদার। আর ডাকসু ফর চেঞ্জের বিন ইয়ামিন মোল্লা দাবি করেন, নির্বাচনের অন্তত ৪-৫ দিন আগে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা রিসিডিউল করতে হবে।


















