বুধবার , ২৭ আগস্ট ২০২৫ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. খুলনা
  7. খেলা
  8. চট্রগ্রাম
  9. জেলার খবর
  10. ঢাকা
  11. তথ্য-প্রযুক্তি
  12. প্রবাসের কথা
  13. বরিশাল
  14. বাংলাদেশ
  15. বিনোদন

যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলে বন্দুক হামলায় তিন জনের প্রাণহানি, জখম ২০

প্রতিবেদক
Newsdesk
আগস্ট ২৭, ২০২৫ ১০:৫৩ অপরাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রে আবারও বন্দুক হামলার ঘটনা। এবার দেশটির মিনিয়াপলিসের একটি স্কুলে গুলিবর্ষণের ঘটনায় কমপক্ষে দুইজন নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছেন বলে মার্কিন গণমাধ্যমে সিবিএস নিউজের বরাতে জানিয়েছে বিবিসি। পরে পুলিশের গুলিতে ওই বন্দুকধারী নিহত হন।

পুলিশ জানায়, ওই বন্দুকধারী কালো পোশাকে ছিলেন। তাঁর হাতে ছিল একটি রাইফেল। গ্রীষ্মের ছুটি শেষে স্কুল শুরুর দুই দিন পর এ ঘটনা ঘটলো। এ স্কুলে প্রি-স্কুল থেকে অষ্টম গ্রেড পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয়। বন্দুক হামলার পর স্কুলটি নিরাপত্তা বেষ্টনি দিয়ে ঘিরে রেখেছে রাজ্যের পুলিশ।

সিবিএস নিউজের তথ্য অনুযায়ী, বন্দুকধারীসহ তিনজন নিহত এবং ১০ জন গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মিনেসোটার শিশু হাসপাতালের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ছয়জন আহত শিশুকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তিনি জানান, রোগীদের গোপনীয়তা রক্ষার আহবান জানিয়েছেন তারা।

গুলি চালানোর ঘটনাস্থল থেকে মাত্র দুই ব্লক দূরে বসবাসকারী এক বাসিন্দা স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, তার বাড়ি থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন তিনি। বলছিলেন, এতো গুলির শব্দ হচ্ছিলো, যা ছিল রীতিমতো ভীতি ধরানো। মনে হচ্ছি স্বয়ংক্রিয় কোন অস্ত্র থেকে গুলি ছোড়া হচ্ছে।

অঙ্গরাজ্যের গভর্নর টিম ওয়ালজ সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে লিখেছেন, অ্যানুনসিয়েশন ক্যাথলিক স্কুলে গুলি চালনার ঘটনা সম্পর্কে আমাকে ব্রিফ করা হয়েছে। আরও খোঁজখবর নিচ্ছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। মিনেসোটা ক্রিমিনাল অ্যাপ্রিহেনশন ব্যুরো এবং স্টেট প্যাট্রলের সদস্যরাও সেখানে আছেন।

মিনিয়াপোলিসের মেয়র জ্যাকব ফ্রে বলেছেন, তিনি দক্ষিণ মিনিয়াপোলিসে ভয়ানক সহিংসতার বিষয়ে আরও খোঁজ খবর নিচ্ছেন। জরুরি বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে রয়েছেন। ঘটনা তদন্তে এফবিআই ও রাজ্যের পুলিশ কাজ করছে। পুলিশ ও জরুরি সেবা দল ঘটনাস্থলে কাজ করছে।

মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি বলেছেন, মিনেসোটার মিনিয়াপোলিসের অ্যানানসিয়েশন ক্যাথলিক স্কুলে গুলি চালানোর ঘটনাস্থলে ফেডারেল এজেন্টরা উপস্থিত রয়েছেন। এই ট্র্যাজেডির শিকার সবার জন্য আমার প্রার্থনা। আমাদের দল আপডেট পাওয়ার সাথে সাথে তা সরবরাহ করবে।

বেসরকারি এ স্কুলটির ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী প্রি-স্কুল থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ৩৯৫ শিক্ষার্থী এখানে পড়াশোনা করে। ১৯২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এ ধর্মীয় স্কুলটিতে ধর্মীয়সহ অন্যান্য সাধারণ শিক্ষা দেওয়া হতো।

যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েম জানিয়েছেন তিনি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। এক্সে ক্রিস্টি নোয়েম লিখেছেন, এই ঘৃণ্য হামলার হতাহত ও তাদের পরিবারের জন্য আমি প্রার্থনা করছি।

মিনিয়াপোলিস পুলিশ প্রধান ব্রায়ান ও’হারা বলেন, স্থানীয় সময় সাড়ে আটটার আগে পুলিশ ঘটনাস্থল অ্যানানসিয়েশন চার্চে পৌঁছায়। সে সময় শিশুদের একটি উপাসনা অনুষ্ঠান চলছিলো। প্রার্থনার সময় একজন বন্দুকধারী ভবনের বাইরে থেকে এগিয়ে আসে এবং গির্জার জানালা দিয়ে গুলি চালাতে শুরু করে। সে ভবনের ভেতরে থাকা শিশু এবং উপাসকদের উপর গুলি চালায়।

ও’হারা আরও বলেন, বন্দুকধারীর কাছে তিনটি অস্ত্র ছিল। একটি রাইফেল, একটি শটগান ও একটি পিস্তল। শিশুদের গির্জায় গুলি চালানোকে নিছক নিষ্ঠুরতা এবং কাপুরুষতা হিসাবে বর্ণনা করেন তিনি। ও’হারা জানান, আট এবং দশ বছর বয়সী দুটি ছোট শিশু ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আহতের ১৪ জনই শিশু।

পুলিশ প্রধান ও’হারা বলেন, পুলিশের ধারণা বন্দুকধারীর বয়স ২০ বছরের কম ছিল এবং একাই ঘটনাটি ঘটিয়েছে। তাদের ধারণা বন্দুকধারী নিজেই নিজের গুলিতে মারা গেছেন। বন্দুকধারীর বিস্তৃত ও পরিচিত অপরাধমূলক কোন ইতিহাস ছিলো। তার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য খতিয়ে দেখছেন তারা।

পুলিশ প্রধান বলেন, গির্জার গাড়ি পার্কিংয়ে সন্দেহভাজনের গাড়ি গাড়ি পাওয়া গেছে। সেটি তল্লাশি করা হচ্ছে। বন্দুকধারী গির্জা ভবনের একপাশে এসেছিলো, যে পাশে কমপক্ষে দুটি দরজা ছিল। আমরা কোনও বিস্ফোরক বা ইম্প্রোভাইজড ডিভাইস খুঁজে পাইনি। এক ধরণের আতশবাজি ধোঁয়ার কারণ।

ও’হারা বলেন, বন্দুকধারী ভবনের বাইরে থেকে গুলি চালানোর পর ভেতরে ঢুকেছিল, কিন্তু ভেতরে এখনও কোনও খোসা পাওয়া যায়নি। সব না হলেও, বেশিরভাগ গুলি বাইরেই চালানো হয়েছে। কয়েক ডজনের মতো গুলি ছোঁড়া হয়েছে। বন্দুকধারী তার রাইফেল, শটগান ও পিস্তল, তিনটি অস্ত্রই ব্যবহার করেছেন।

সর্বশেষ - আইন-আদালত