ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য কেনার আওয়ামী লীগ আমলে বিতরণ করা এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডের ৫৯ লাখই ভুয়া। এমন তথ্য জানিয়েছেন ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ -টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়সাল আজাদ।
তিনি জানান, কার্ডগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়, যেখানে বেশিরভাগ উপকারভোগীর তথ্যে কোনো মিল নাই। আবার এগুলো দেওয়া হয়েছে রাজনৈতিকভাবে মুখ চেনা ব্যক্তিদের, যারা এসব কার্ড পাওয়ারই যোগ্য নয়।
রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হলে নিম্ন আয়ের মানুষ প্রায় হুমড়ি খেয়েই পড়ে! অনেকের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এক কোটি ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হলেও আবেদন করে তারা পাননি।
অথচ নিম্ন আয়ের এসব মানুষ আওয়ামী লীগ আমলের ফ্যামিলি কার্ড না পেলেও নমুনা হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৩২নং ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায় টিসিবির কয়েকশ’ ভুয়া কার্ড পড়ে আছে।
টিসিবি চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়সাল আজাদ জানান, ৫ আগস্ট ক্ষমতা পরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফ্যামিলি কার্ডগুলোকে স্মার্ট করার পদক্ষেপ নেয়, এতেই বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি ধরা পরে।
এসব ভুয়া কার্ড কিভাবে তৈরি করা হয়েছে? তা নিয়ে টিসিবির নিয়োগ দেয়া যাচাই-বাছাইকারি প্রতিষ্ঠান বলছে, সাধারণত কারো এনআইডির সঙ্গে ভিন্ন জনের মোবাইল নাম্বার দিয়ে এগুলো তৈরি করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের বিতরণ করা ভুয়া কার্ডগুলো বাতিলের পর সেখানে সঠিক তথ্যে এক জন ব্যক্তির নামে কীভাবে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ করা হচ্ছে সেটি প্রতিবেদককে বর্ণনা করেন স্পেকটার্ম আইটি সল্যুশান লি. -এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
টিসিবি জানায়, আগের ভুয়া কার্ড বাতিলের পর নতুন উপকারভোগীর অন্তর্ভুক্তির কাজ চলছে। এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ৭২ লাখ। তবে সেই কাজ চলছে ঢিমেতালে। এমন অভিযোগ টিসিবি ডিলার কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলামের।
টিসিবির দাবি স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড কে পাবে এবং কোন এলাকায় কতগুলো বিতরণ করা হবে তার স্পষ্ট নির্দেশনা আছে, তাই এবার ভুয়া কার্ড তৈরি এবং বিতরণের সম্ভাবনা একদমই নেই।

















