আজ ১২ই রবিউল আউয়াল। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী। যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে পালিত হচ্ছে দিনটি।
এই উপমহাদেশে মিলাদুন্নবী পালনের ঐতিহ্য ৪০০ বছরের। সুন্নি মতাদর্শী ইসলামী চিন্তাবিদরা বলছেন, শরিয়তসম্মতভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের তাৎপর্য রয়েছে। তবে এ নিয়ে কিছু ইসলামী চিন্তাবিদের দ্বিমতও রয়েছে।
মহানবীর আগমন পুরা জাহানের জন্য বরকতময় বলে উল্লেখ করে ইসলামী চিন্তাবিদরা এদিন মিলাদ, নফল রোজা ও ইসলামী বয়ানের ওপর গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।
মিলাদুন্নবী (সা) উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশে জশনে জুলুস, মিলাদ মাহফিল ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে মাসব্যাপী ইসলামি বইমেলা ও কিরাত ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন ও করা হয়েছে।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেছেন, মহানবী (সা.) একটি সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সবার ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং মুসলমানদের দায়িত্ব ও কর্তব্য বিষয়ে উম্মতদের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং ইহকাল ও পরকালীন কল্যাণ নিশ্চিতে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতিটি কথা, কর্ম ও জীবনাদর্শ সব মুসলমানের জন্য অবশ্যই অনুসরণীয়।
প্রধান উপদেষ্টা তার বাণীতে বলেছেন, মহানবী (সা.)-এর অনুপম জীবনাদর্শ, সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহর অনুসরণ আজকের এই দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় বিশ্বে শান্তি, ন্যায় এবং কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে। ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ বিশ্ববাসীর জন্য উৎকৃষ্টতম অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়, এবং এর মধ্যেই মুসলমানদের জন্য অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে।


















