কয়েকদিন অনিশ্চয়তার পর অবশেষে দেশে ফিরছেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড়রা। ইতোমধ্যে তারা নেপালের ত্রিভুবন এয়ারপোর্টে পৌঁছেছে।
ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলতে গিয়ে নেপালের কাঠমান্ডুতে সরকারবিরোধী আন্দোলনে আটকা পড়ে ফুটবলাররা। স্বাগতিকদের বিপক্ষে একটি ম্যাচ না খেলেই ‘হোটেল বন্দি’ থাকতে হয় তাদের।
নেপালের সামগ্রিক অবস্থা কিছুটা স্বাভাবিক হলে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় দেশে ফিরছেন জামাল ভূঁইয়া ও প্রীতি ম্যাচ কাভার করতে যাওয়া ক্রীড়া সাংবাদিকরা।
দু’দিন বন্ধ থাকার পর বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন এয়ারপোর্ট খুলে দেওয়া হয়। আজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিশেষ ব্যস্থাপনায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সি-১৩০বি এয়ারক্রাফট (১৫৩৭) এর একটি বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফিরছেন তারা।
গতকালই দেশে ফেরার কথা ছিলো জামালদের। তবে নেপালের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় ফ্লাইটটি স্থগিত করা হয়।
গত ৮ সেপ্টেম্বর নেপালের কাঠমান্ডু আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠলে, বাংলাদেশ দলের অনুশীলন বাতিল হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারফিউ ঘোষণার পাশাপাশি বাতিল করা হয় পরদিনের ম্যাচও। এমনকি জামালদের অবস্থান করা টিম হোটেলের পাশেও জ্বালাও-পোড়াও চলছিলো। ফলে হোটেলবন্দী হয়ে পড়েন ফুটবলাররা। তাদের নিরাপদে রাখতে বাংলাদেশ সরকার ও বাফুফে সার্বক্ষণিক খবর রাখছিলো। ওই সময়ে ফুটবলাররা সেখানকার জিমে সময় কাটান।
নেপালে বেশ কিছুদিন ধরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। গত সোমবার রাজধানী কাঠমান্ডুসহ দেশের বিভিন্ন শহর ব্লক করে জনতা। সরকারের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই তাদের এই বিক্ষোভ। এমন অস্থিরতার কারণেই ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো।




















